Breaking

Showing posts with label নারীর স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label নারীর স্বাস্থ্য. Show all posts

Monday, February 26, 2018

2/26/2018 04:14:00 PM

যে চারটি খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন



আয়রন হলো শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান যা মিনারেল হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রাপ্ত বয়স্ক  একজন ব্যক্তির প্রতিদিন আট মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন। ১৯ থেকে ৫০ বছরের নারীদের প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম করে আয়রন গ্রহণ করতে হবে। গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারী মায়েদের প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১১ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা খুবেই জরুরি।

তাই আমাদের আয়রনের অভাব পূরণ করতে হলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার । আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবারের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

১. আনার


প্রথমেই রয়েছে আনার। আনারের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ, অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস । প্রতি  ১০০ গ্রাম আনারে রয়েছে  ০.৩ মিলিয়ন আয়রন। আনারকে সালাদ ও ডেসার্টে ব্যবহার করেও  খেতে পারেন।

২. বাদাম

দ্বিতীয়তে রয়েছে বাদাম। বাদামের মধ্যে রয়েছে চীনা বাদাম, কাঠবাদাম, ক্যাসোনাট, পিনাট ইত্যাদি হলো আয়রনের চমৎকার উৎস। ক্যাসোনাট এ আছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আয়রন। ৩০ গ্রাম ক্যাসোনাটে রয়েছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন। স্ন্যাকস হিসেবে এই বাদাম খেতে পারেন।

৩.আপেল

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আপেল। আপেল আয়রনের ভালো একটি উৎস। এর মধ্যে আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি। মধ্যমমানের একটি আপেলে রয়েছে ০.৩/১ মিলিগ্রাম আয়রন। আপেল  হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভালো কাজ করে। নাস্তার টেবিল এ ছাড়াও ডেসার্ট, সালাদ, অথবা স্মুদি তৈরিতে আপেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. খেঁজুর

সব শেষে রয়েছে খেজুর। খেঁজুর হলো আয়নের খুব চমৎকার একটি উৎস। এর মধ্যে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬। খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটিও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যা আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে রাখবে সুস্থ।

Sunday, February 25, 2018

2/25/2018 10:49:00 AM

আঁদার গুনাগুন্

আজ আমরা আঁদার গুনাগুন্ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

০১.
পেশী ক্লান্তি জন্য আদা গুঁড়া কি বেশি প্রয়োজন ?


কাঁধের ব্যথা থেকে বেঁচে থাকা তরুণ ব্যবসায়ী,

আলেকজান্দ্রিয়াতে আদা খাওয়াতে ব্যায়ামের কারণে পেশী ব্যথা দূর করার কাজ করে এমন পণ্ডিত ব্যক্তিরা প্রচার করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান বিভাগের ড. প্যাট্রিক ও'কন্নর, ডায়ালেসিক প্রভাব বাড়ানোর সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে 74 জন মানুষের জন্য 11 দিনের জন্য একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালিত করেছে। প্রতিদিন আদা 2 গ্রাম পাকস্থলিতে গ্রহণ করা হয়, পেশী প্রশিক্ষণ চ্যালেঞ্জ করার জন্য।

পেশীর ব্যাথা পরীক্ষা করার পর, গতি এবং ক্লান্তি পরিস্থিতি দেখা যায় যে, প্রতিদিন প্রায় 30 শতাংশ মানুষের পেশী ব্যথা কমে যায়।


০২.
মেটাবোলিজমে আঁদার গুনাগুন্।


কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পুষ্টির গবেষণা  টিম ২০১২ সালে এই ধরনের একটি উপস্থাপনা তৈরি করে এবং এটি একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে ওঠে। "আদা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এবং ক্ষুধা হ্রাস করতে সক্ষম তাই আদা খুবেই দরকারি "।

গবেষণাপত্রগুলির সারসংক্ষেপে, শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে বিপাক ঘটে, ফলে কম শক্তি খরচ হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয় যা বিপাক প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। অতএব, আদা ব্যবহার করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ হবে।

ধারণা করা হয় ,আদা শরীরের তাপমাত্রা প্রায় 12% বৃদ্ধি করে। বিন্দু শরীরের এই উদ্ভিজ্জ সঙ্গে warms যে হয়, যুক্তি বিপাক প্রচারের মাধ্যমে বিপাক মুখোমুখি হয়।
এক টুকরো আদা শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং হজম প্রকিয়া আরো শক্তিশালী করে।


০৩.
আপনার ত্বকে ইউভি (UV) সুরক্ষা জন্য আদা।
ব্যাংকক এর চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিক্যাল রিসার্চ টিম দ্বারা পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, আদা সূর্যের  অতিবেগুনী আলোকে শোষণ করার ক্ষমতা রাখে, যা অতিবেগুনী আলোতেও UVB (অতিবেগুনী বি তরঙ্গ) এর সাথে সম্পর্কিত ডিএনএ ক্ষতি থেকে ত্বকের রক্ষা করে।

০৪.
"সকালে অসুস্থতা হ্রাস"
ভয়েস বলছে যে ,

এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক উপসর্গ যেমন বুকজ্বালা এবং বমি বমি ভাব, এছাড়াও "সকালে অসুস্থতা" জন্য আদা খুব ভালো কাজ করে ।

উদাহরণস্বরূপ,("মেডিকেল ডেইলি") আমেরিকান গর্ভবতী মহিলা সমিতি থেকে  গর্ভবতী মহিলাদের যা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা হলো,  আদার  চা এবং আদার জ্যাম (চাটনি)। এদিকে, গবেষকরা বলছেন, "সম্ভবত আদার কার্যকারিতা সীমিত এবং কিছু  সীমাবদ্ধতার রয়েছে"। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এর পৃথক দৃষ্টিকোণ থাকলেও আদার গুনাগুন অপরিমেয়।

০৫.
অপ্রীতিকর পরিণামের জন্য

আপনি প্রায়ই পেটের হজম জনিত সমস্যায় পড়েন । তাই আদা কিভাবে শরীরের পাকস্থলিতে কাজ করে তা আমরা জানবো।

ভারতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা একটি গবেষণায়, তীব্র উপাদান হিসেবে আদার রস সুপ্ত গ্যাস্ট্রিক এবং হজম উন্নত করে বলে মনে করা হয়। ফলে আদা বদ-হজম জনিত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও, সকালে আদার চা এর উপকারিতা অনেক । শুধু মাত্র শরীর উষ্ণ রাখতে নয়, বরং পেটের নানান সমস্যার সমাধান হিসেবে এবং বমি বমি ভাব দূর করতেও আদার গুরুত্ব অনেক।




Sunday, March 5, 2017

3/05/2017 09:25:00 PM

যে কাজ গুলো আপনার যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে




ধরে রাখুন নিজের যৌবন খুব সহজ এই 15 টি নিয়মে.

1) নিজের খাদ্য তালিকাকে বদলে ফেলুন. খাদ্য তালিকায় যোগ করুন অধিক আঁশ যুক্ত খাবার. কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাবেন না. পরিমিত প্রোটিন ও প্রচুর সবজি ও ফল ...

 যোগ করুন খাদ্য তালিকায়.

২) দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন. সকালের পরিষ্কার বাতাসে করতে পারল আরও ভালো.

3) উপুড় হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন. এতে মুখে খুব সহজে বলিরেখা পড়ে যায়.

4) দৈনিক অন্তত 8 গ্লাস পানি বা পানি জাতীয় খাবার পান করুন.

5) অতি অবশ্যই কোমল পানীয় পান ত্যাগ করুন. একই সাথে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারও পরিহার করুন.

6) ভুলেও ধূমপান করবেন না বা মদ্যপান করবেন না.

7) সানস্ক্রিন ব্যভারকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না. কিন্তু এই চমৎকার জিনিসটি আসলে আপনার যৌবন ধরে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক.

8) নিজের স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন. স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে যোগ ব্যায়াম সহ আরও যা যা করা সম্ভব করুন.

9) মুখে কখনো সাবান মাখবেন না. এতে চেহারা অকালেই বুড়িয়ে যায়.

10) মুখের যত্ন করার পাশাপাশি হাত ও পায়ের যত্ন করতেও ভুলবেন না. নিয়মিত পেডিকিউর ও মেনিকিউর করুন.

11) চোখ ও এর চারপাশের এলাকার বেশী যত্ন করুন. ভালো করে ঘুমাবেন, কোন বাজে মেকআপ বা পণ্য ব্যবহার করবেন না. চোখের পাশের তোকে হাতের আঙ্গুল বা তোয়ালে দিয়ে ঘষবেন না. এই এলাকাগুল খুবই নরম বিধায় সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হিয় ও চেহারায় বলি রেখা পড়ে.

1২) প্রচুর ঘুমাবেন. শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেবেন. এবং ঘুম যেন আরামের হয় সেটা লক্ষ্য রাখবেন.

13) গরম পানি দিয়ে বেশী সময় ধরে এবং নিয়মিত গোসল করবেন না. স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই গোসল সারুন.

14) মুখ বা হাত পায়ের ত্বকে খুব বেশী স্ক্রাবিং করবেন না.

15) বাইরে থেকে ফিরে মুখ ও দেহ পরিষ্কার না করে ঘুমাবেন না. মুখে মেকআপ সহ তো মোটেও না
3/05/2017 09:13:00 PM

ধরে রাখুন নিজের যৌবন খুব সহজ এই ১৫টি নিয়মে



ধরে রাখুন নিজের যৌবন খুব সহজ এই ১৫টি নিয়মে।

১) নিজের খাদ্য তালিকাকে বদলে ফেলুন। খাদ্য তালিকায় যোগ করুন অধিক আঁশ যুক্ত খাবার। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। পরিমিত প্রোটিন ও প্রচুর সবজি ও ফল...

 যোগ করুন খাদ্য তালিকায়।

২) দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। সকালের পরিষ্কার বাতাসে করতে পারল আরও ভালো।

৩) উপুড় হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে মুখে খুব সহজে বলিরেখা পড়ে যায়।

৪) দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি বা পানি জাতীয় খাবার পান করুন।

৫) অতি অবশ্যই কোমল পানীয় পান ত্যাগ করুন। একই সাথে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারও পরিহার করুন।

৬) ভুলেও ধূমপান করবেন না বা মদ্যপান করবেন না।

৭) সানস্ক্রিন ব্যভারকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই চমৎকার জিনিসটি আসলে আপনার যৌবন ধরে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক।

৮) নিজের স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে যোগ ব্যায়াম সহ আরও যা যা করা সম্ভব করুন।

৯) মুখে কখনো সাবান মাখবেন না। এতে চেহারা অকালেই বুড়িয়ে যায়।

১০) মুখের যত্ন করার পাশাপাশি হাত ও পায়ের যত্ন করতেও ভুলবেন না। নিয়মিত পেডিকিউর ও মেনিকিউর করুন।

১১) চোখ ও এর চারপাশের এলাকার বেশী যত্ন করুন। ভালো করে ঘুমাবেন, কোন বাজে মেকআপ বা পণ্য ব্যবহার করবেন না। চোখের পাশের তোকে হাতের আঙ্গুল বা তোয়ালে দিয়ে ঘষবেন না। এই এলাকাগুল খুবই নরম বিধায় সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হিয় ও চেহারায় বলি রেখা পড়ে।

১২) প্রচুর ঘুমাবেন। শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেবেন। এবং ঘুম যেন আরামের হয় সেটা লক্ষ্য রাখবেন।

১৩) গরম পানি দিয়ে বেশী সময় ধরে এবং নিয়মিত গোসল করবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়েই গোসল সারুন।

১৪) মুখ বা হাত পায়ের ত্বকে খুব বেশী স্ক্রাবিং করবেন না।

১৫) বাইরে থেকে ফিরে মুখ ও দেহ পরিষ্কার না করে ঘুমাবেন না। মুখে মেকআপ সহ তো মোটেও না।


Sunday, February 19, 2017

2/19/2017 07:37:00 PM

নরমাল ডেলিভারি কেন জরুরি ?

অনেক মা প্রসব ব্যাথা ভয় পান এবং তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সিজার করাতে চান। একজন সুস্থ মায়ের ক্ষেত্রে কখনোই এটা প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত নয় একথা বলছেন ল্যাটিন আমেরিকান হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা। ৯৭,০০০ ডেলিভারি রিপোর্ট অনুসন্ধান করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন- স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান করা মায়েদের মৃত্যুঝুঁকি ৩ গুণ বেশী । আরেক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সিজারিয়ান শিশুরা সাধারণত খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকে। কারণ যে সময় অপারেশন করে তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয় ঐ সময়ে সে জন্মগ্রহণ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে না। শিশুর কাছে এই প্রকিয়া নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার আসা যাক নরমাল ডেলিভারি কেন জরুরি এই আলোচনায়।
সন্তানের ফুসফুসের ক্ষমতা:
নরমাল শিশু যখন বেরিয়ে আসে তখন তার পুরো শরীর সংকুচিত হয়। ফুসফসটাও সংকুচিত হয়। এতে ফুসফুসের ভেতরে থাকা অপ্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ বেরিয়ে যায়। ফলে তার ফুসফুসটা স্বাভাবিক প্রশ্বাস নেবার জন্যে প্রস্তুত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। ফুসফুসের ক্ষমতা ভালো থাকে ।
মায়ের দুধ পানে আগ্রহ:
সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর সংগঠনগুলোর গবেষণায় জানা গেছে, সিজারিয়ান শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে বেশি সমস্যার মুখে পড়ে। নরমাল ভাবে শিশুর জন্ম হলে শিশু কোন সমস্যা ছাড়াই মায়ের দুধ সঠিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে। যার মায়ের দুধের বিশেষ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। অপরদিকে সিজারিয়ান অপারেশনে মাকে অস্ত্রোপচারের জন্য যেসব অ্যানেসথেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তা নবজাতকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বুকের দুধ পানে বাঁধা তৈরি করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
নরমাল ডেলিভারিতে শিশু মায়ের থেকে কিছু অণুজীবাণু পেয়ে থাকে যা তার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম গঠনে সুফল এনে দেয়। শিকাগোর ডা. এলিউট এম লেভিন ও সহযোগী গবেষকদের মতে, সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুদের প্রাইমারি পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ পাঁচ গুণ বেশি। সিজারিয়ান শিশুর ব্লাড ইনফেকশনের হার বেশি। থাকে জন্ডিস দেখা দেয়ার আশঙ্কা।

সিজোফ্রেনিয়ার ঝুঁকি:
নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা ইঁদুরে ওপর গবেষণা করে পেয়েছেন, সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশু পরবর্তী সময়ে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে থাকে।
অ্যালার্জির প্রবণতা:
কিডস অ্যালার্জি রিস্ক ডাটা দেখাচ্ছে সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুতে অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি। ২০০১ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি দেখাচ্ছে, সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাজমার প্রবণতা বেশি থাকে। এ গবেষণা হয়েছে ফিনল্যান্ডে।
ডায়রিয়া রোগের ঝুঁকি:
জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিউনিখের ৮৬৫ জন শিশু যারা প্রথম চার মাস শুধু বুকের দুধ খেয়েছে, পরবর্তী সময়ে ১২ মাস বয়সে এসে দেখা যায় সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হওয়ার ৪৬ গুণ বেশি ঝুঁকি বেড়েছে।
তবে ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে বাচ্চাকে দ্রুত প্রসব করাতে হয় (সাধারনত ৩০ মিনিটের মধ্যে)। এক্ষেত্রে মা ও শিশু উভয়ের কথা চিন্তা করে সিজার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। urboshi


source:
2/19/2017 07:14:00 PM

জেনে নিন প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি খাবারের নাম

শীতকালে অনেকের মুখের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সতেজ করতে অনেকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তবে ত্বকে সজীবতার জন্য ভেতর থেকে শক্তি প্রয়োজন। শীতের মৌসুমে কিছু খাবার আছে, যা খেলে ত্বক ঝকমকে হয়ে উঠবে। জেনে নিন প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি খাবারের নাম।
কমলালেবু: শীতকালে লেবুজাতীয় ফল ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকর। এর মধ্যে কমলালেবু মুখের ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
গাজর: সুন্দর ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করবে। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত ভাঁজ পড়া, কালো দাগ দূর করে।
অ্যাভোক্যাডো: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকায় অ্যাভোক্যাডো আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
তৈলাক্ত মাছ: স্যামন, টুনা, সার্ডিনের মতো সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে এটি সাহায্য করে।
অলিভ ওয়েল: প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব রাখে।
টমেটো: ত্বকের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান টমেটো। যারা প্রতিদিন পাঁচ চা চামচ পরিমাণ টমেটো স্যুপ খায় এবং সঙ্গে এক চামচ করে অলিভ ওয়েল পান করে তাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় বেশি সজীব থাকে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি খুবই উপকারী। ঠান্ডা লাগার হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে গ্রিন টি। যারা দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের ত্বক বেশি মসৃণ ও নমনীয় হয়। এ ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
#লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক, ভেষজ গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 07:04:00 PM

চারটি জিনিস যা মানুষের মুখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে--




 চারটি জিনিস যা মানুষের মুখের সৌন্দর্য্য
বৃদ্ধি করে---
১।ধার্মিকতা /ধর্মানুরাগ /কর্তব্যনিষ্ঠা,
২।বিশ্বস্ততা,
৩।মহত্ত্ব /দয়াশীলতা,
৪।অন্যর প্রতি সহায়ক হওয়া ।
.
চারটি জিনিস যা মানুষের মুখকে শুকনো দেখায়
এবং মুখের সুশ্রী কেড়ে নেয় ---
১।মিথ্যাবাদিতা,
২।বেহায়া /লজ্জাহীনতা,
৩।অযথা বিতর্কে জড়ানো,
৪।ব্যভিচার করা ।

#লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

#আমাদের পোষ্টগুলো যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলেঅবশ্যই #কমেন্ট করে জানাবেন।আর LIKE অথবা #কমেন্ট যদি #না দেন তাহলে #facebook
অথোরিটি পরবর্তী পোস্ট আপনাদের কাছে পৌসাবেন না, এইটা facebook ই ভালো জানে,

#আর আলহামদুলিল্লাহ আমরা সততার সাথে পাশেন্টদের সাথে ড্রীল করি তাই আমাদের allways #ক্লায়েন্ট থাকে facebook এ add দিয়ে ক্লায়েন্ট ডাকার প্রয়োজন নাই,শুধু আপনারা যারা আয়ুর্বেদ,ইউনানী ও বোনাজি ঔষুধ খেতে চান,তার পর টিভি ও ডিশে ভুয়া

বানানো এড দেখে ঝাপায়া পরেন ও রাস্তার পাশে বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টের দেখে ৭ দিনে ভালো কইরা দিবে।এই পোস্টার যারা দেয় তারা বাটপার ও সাগল আর যারা ঐ পোস্টার দেখে যান তারা পাগল ,তার পর ধরা খেয়ে বলেন হারবাল ভুয়া শুধু তাদের বলসি একটু সচেতন হন তাহলে আপনারা ও ঠকবেন না ও আয়ুর্বেদ ও বনাজি ঔষুধ এর কোনো বদনাম হবে না,
#শুধু খালি এই আয়ুর্বাদিক ও ইউনানী ও হারবাল এর নামে কিসু অসাধু ও স্বল্প শিক্ষিত লোক যাদের দিনে আনে দিনে খায় ও গ্রামথেকে ঢাকায় এসে কিসুদিন গার্মেন্চ অথবা small কোনো চাকরী করসে অথবা মর্ডান হারবাল কোম্পানির ১৫ দিন এর একটা যুব উন্নয়ন এর কোর্স করসে,
ঐ সাটিভিকেট নিয়ে বলসে আমি ডঃ / কবিরাজ,। মর্ডান কোম্পানী শুধু খুচরা বিক্রি করার জন্য ১৫ দিন এর যুবউন্নন এর সাটিভিকেট দিসে ,(এইটা তো মর্ডান এর কোনো দোষনা) আর ওরা ঐটা দিয়া সে ডাক্তার হয়ে গেসে,কিসু না করতে পেরে হারবাল এর নাম দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বইসা যায়,আর খালি হারবাল হারবাল করে,

#আর ঐধরণের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোনো ঔষুধ পাবেন না দেখবেন খালি শেলফে একটা একটা কইরা বোতল সাজায়া রাখসে , আর পেসেন্টদের ইস্পিসাল ঔষুধ বইলা ঔষুধ এর লেবেল খুলে ২০০ টাকার ঔষুধ 2000 টাকা বেচে, এইগুলার রিয়াল কোনো সাটিফিকেট, নাই নয়তো কোনো নিম্ন ফ্যামিলি থাকে আশসে,কিসুদিন গার্মেন্স এ চাকরি ও করসে,#হাতের লেখা সুন্দর দিয়া চালায় নিতাসে, তাই মানুষের পকেট কাইটা কীভাবে বড়লোক হবে।
আর আপনাদের অনুরোধ টিভি তে ডিশ লাইনে কোনো বানানো চকচকে add দেখে ঔষুধ খাবেন না,নায়ক নায়িকা দের এড সব ভুয়া,নায়ক নায়িকা সবসময় মিথ্যা,সব টাকার খেলা,যেখান থেকে ই ঔষুধ খাবেন তা নিজ চোখে দেখে তারপর যদি অরজিনাল মনে হয় ।তখন ঔষুধ কিনবেন।

আর আমাদের প্রতিষ্ঠান এ আমরা কখনো এড করিনাই চিন্তা করসি আমাদের একজন পেশেন্ট ভালো হবে ,সে আরেক জনের কাছে তার সুষ্টতার কথা বলবে ,তখন শুইনা অন্য একজন আমাদের মেডিকেল এ আসবে ।তাই, মানুষ দিন দিন প্রতারিত হইতেসে তাই আমার এই সাবধানতা,শুধু আপনাদেরকে সচেতন করার জন্য এতো কথা লেখলাম ,আর কোনো

source:
2/19/2017 07:01:00 PM

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন
সুন্দর ত্বকের জন্য অনেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবহার করেন। যদিও কিছু ভুলের জন্য ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
এ লেখায় দেওয়া হলো ১০টি কাজ, যা ত্বকের ক্ষতি করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ঘুমের অভাবে চেহারায় যে ছাপ পড়ে তা মানুষের মুখ ও চোখ দেখলেই বোঝা যায়। আর তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
২. অলস জীবনযাপন
আপনি যদি আলসেমিপূর্ণ জীবনযাপন করেন তাহলে ত্বকের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এ ক্ষেত্রে ত্বকে অকালেই বলিরেখা পড়ে এবং ত্বক বুড়িয়ে যায়। তবে আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটেন বা শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
৩. মানসিক চাপে থাকা
মানসিক চাপের প্রভাব আপনার ত্বকে পড়বেই। আর আপনি যদি প্রতিদিন চাপের মধ্যে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্যও সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে।
৪. মেকআপসহ ঘুম
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেরই মেকআপের প্রয়োজন হয়। যদিও এ মেকআপ প্রয়োজন শেষে ভালোভাবে উঠিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় তা আপনার সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট করবে।
৫. অতিরিক্ত সূর্যতাপ
আপনি যদি অতিরিক্ত সময় সূর্যতাপে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো সূর্যতাপ এড়িয়ে চলা ও সূর্যতাপে ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
৬. ত্বকের অযত্ন
ত্বকের যত্ন করারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা রোধ করতে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার ও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যেতে পারে।
৭. কোমল পানীয় পান
অনেকেরই বাড়তি কোমল পানীয় পান করা অভ্যাস রয়েছে। আর এ অভ্যাসের কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত তাজা ফলমূল না খান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হবে। সুন্দর ত্বকের জন্য বাড়তি পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া তেল-চর্বি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
৯. ধূমপান
ধূমপানের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। আর ধূমপান শুধু ফুসফুসের ওপরই নয়, সারা দেহের ওপরই প্রভাব বিস্তার করে।
#লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 06:58:00 PM

আপনি কি বাচ্চা প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন ?

আপনি কি প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন

একটি দম্পতির কাছে সবচেয়ে সুখকর পর্ব হল গর্ভধারণ। গর্ভবতী মায়েরা প্রসবের দিন এগিয়ে আসার সময়কালে অতিরিক্ত আবেগময় ও হরমোনাল হয়ে পড়েন, এবং এটি একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, একটি পূর্ণ মেয়াদ শিশু প্রসব করতে নয়টি পূর্ণ মাস সময় লাগে। এই নয় মাস সন্তানসম্ভবা মা এবং পরিবার দুঃখ সুখে ভরা থাকে| তবে এটি বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে যখন প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। প্রসবের ধাপগুলি কয়েক দিনের মধ্যে ঘটতে পারে আবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে, কিছু ভাগ্যবতী মহিলার ক্ষেত্রে কয়েক মিনিটের মধ্যেও ঘটতে পারে।

অধিকাংশ নারী যারা প্রাকৃতিকভাবে প্রসবে ইচ্ছুক হন, তাদের এই প্রসবের পর্যায়টি একটি ভয়ানক মুহূর্ত হয়ে ওঠে কিন্তু প্রক্রিয়া শেষে নবজাতকে কোলে নেওয়ার আনন্দটি বহুমূল্যের।

সিজারিয়ান ডেলিভারি বেদনাদায়ক নয় নরমাল ডেলিভারির থেকে, কারণ এতে প্রসবের প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। সিজারিয়ান বিভাগে, গর্ভবতী মহিলাকে স্পাইনাল কর্ডে এনেস্থেসিয়ার ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। এনেস্থেশিয়া শরীরের নিচের অংশ অবশ করে দেয়। শিশুকে তারপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রসব করানো হয়।

সন্তানসম্ভবা মহিলারা যারা স্বাভাবিক প্রসবের তিনটি পর্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন, তারা এই নিবন্ধটি বিস্মৃতভাবে জেনে নিন। নিবন্ধটি প্রসবের লক্ষণ ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে আপনাকে পরামর্শ দেবে।

প্রসবের লক্ষণ: যখন জরায়ুতে চাপ অনুভব হয়, শক্তির মাত্রার পরিবর্তন হয় এবং রক্তের স্রাব নিঃসরিত হয়, বুঝতে হবে শিশুর প্রসবের সময় হয়ে এসেছে। সংকোচনের সময়টি পর্যবেক্ষণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। লেবার এবং ডেলিভারি তিনটি ভাগে বিভক্ত। গর্ভাবস্থায় প্রথম পর্যায়ের লেবারের ধাপ প্রথম পর্যায়ে জরায়ুর সম্পূর্ণ প্রসারণ ঘটে| প্রথম পর্যায়টি আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত যেমন প্রাথমিক লেবার, সক্রিয় লেবার এবং পরিবর্তনকালীন লেবার।

প্রাথমিক লেবার - এটি সবচেয়ে বেদনাদায়ক পর্যায়। এই সময়ে সারভিক্সের তরলীকরণ এবং প্রসারণ হয়ে থাকে। জরায়ুর অন্তত তিন থেকে চার সেন্টিমিটার প্রসারণ হওয়া আবশ্যক। এই প্রাথমিক লেবারের পর্যায়টি, সপ্তাহখানেক, কিছু দিনের জন্য, এমনকি কয়েক ঘন্টার জন্য ঘটতে পারে।

সক্রিয় লেবার - এই পর্যায়ে সংকোচন এবং ব্যথা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং জরায়ুর দশ সেন্টিমিটার প্রসারণ ঘটে। পরিবর্তনকালীন লেবার - এই সময়ে সংকোচন অনেক শক্তিশালী হয় এবং দুই থেকে তিন মিনিট ব্যবধানে ঘটে| ব্যথা এবং সংকোচন, প্রতিটি পর্যায়ের মধ্যে নব্বই সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দাঁত নড়া সমস্যার তেরোটি ঘরোয়া প্রতিকার সেদ্ধ সবজি খাওয়ার দশটি উপকারিতা ওপরের ঠোঁটের লোম দূর করার ছয়টি ঘরোয়া প্রতিকার গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ এই ধাপটির জন্য মায়েরা সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন।

এই পর্যায়ে, জরায়ুর সম্পূর্ণরূপে প্রসারণ ঘটে এবং তখন শিশু গর্ভ থেকে বের হয়ে আসতে প্রস্তুত। এই পর্যায়ে মহিলাদের শান্ত এবং স্বচ্ছন্দ থাকতে হবে, এবং ব্যথা সহ্য করতে হবে (তার যোনিতে সামান্য জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন যখন শিশুর মাথাটি বাইরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়) গর্ভাবস্থায় তৃতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ শিশুর প্রসবের পর, জরায়ু থেকে গর্ভের ফুলটি অপসারণ করা হয়ে থাকে| কেউ কেউ এই ধাপটিকে দ্বিতীয় শিশু বলে থাকে। এই পর্যায়ে, মহিলারা হালকা সংকোচনের মুখোমুখি হন। গর্ভের ফুলটি জরায়ুর প্রাচীর থেকে নিজেকে আলাদা করে নেয় এবং যোনি থেকে বেরিয়ে আসে। এটা তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়।

লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 06:44:00 PM

পিরিয়ডের সময় যে ৭টি খাবার নারীর জন্য জরুরী

পিরিয়ডের সময় যে ৭টি খাবার নারীর জন্য জরুরী
পিরিয়ডের সময় বিশেষ খাবার? খাওয়া দূরে থাক, শিরোনাম পড়েই অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করেছেন অনেক নারী। আমাদের দেশে মেয়েরা অনেক বড় বড় অসুখও যেখানে লজ্জায় লুকিয়ে রাখেন, সেখানে পিরিয়ডের সময় খাওয়া দাওয়ার দিকে মনযোগ দেয়ার ব্যাপারটা তো কারো মাথাতেই আসবে না। তবে সত্যটা হচ্ছে, পিরিয়ডের এই ৩-৫ দিন অনেকটা রক্ত বের হয়ে যায় শরীর থেকে, আর তাই অবশ্যই শরীরের চাই বিশেষ খাবার। তা না হলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন, দেখা দেবে নানান শারীরিক সমস্যা।
আসুন, জেনে নিই পিরিয়ডের সময় কোন খাবারগুলো নারীর জন্য খুব জরুরী।
১) পানি
একথা ভুলে গেলে চলবে না যে কেবল রক্তপাত নয়, সেই সাথে শরীর হারাচ্ছে অনেক খানি তরল। আর এই অভাব পূরণ করতে পান করতে হবে প্রচুর পানি। না, পানীয় নয়। সাধারণ পানি। চা, কফি, কোলা ইত্যাদির চাইতে অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর সাধারণ পানি। হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন, এতে পেট ব্যথায় আরাম হবে।
২) মাছ
বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি। এবং এগুলো পিরিয়ড চলাকালীন শরীরের ক্ষয় পূরণ করে এবং ব্যথা কমাতেও ভূমিকা রাখে। পিরিয়ডের সময় মাছ খেতে ভুলবেন না যেন। সামুদ্রিক মাছ খেলে আরও ভালো।
৩)কলা
হ্যাঁ, কলা। পিরিয়ডের দিনগুলিতে কলা খেতে ভুলবেন না একেবারেই। কলা পটাশিয়ামের ও ভিটামিনের খুব ভালো উৎস, যা পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য জরুরী। এই কলা পিরিয়ডকালীন বিষণ্ণতা কমাতেও সহায়ক। তাছাড়া পিরিয়ডের সময় অনেক নারীই ডায়রিয়াতে ভুগে থাকেন, যা দূর করতে সাহায্য করবে এই কলা।
৪) লাল মাংস
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় পিরিয়ডের সময়ে, যা পূরণ করবে লাল মাংস। চর্বি ছাড়া লাল মাংস অবশ্যই রাখুন খাবারের তালিকায়, সাথে রাখুন প্রচুর সালাদ। শরীর থাকবে সুস্থ।
৫) বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
বাদাম ভর্তি নানান রকম ভিটামিন ও মিনারেলে যা পিরিয়ডের সময় শরীরের জন্য ভালো। তবে খেয়াল রাখবেন, বাজারের বাড়তি লবণে ভাজা বা চিনিতে জড়ানো বাদাম খাবেন না। চীনা বাদাম, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা, আখরোট ইত্যাদি তো খেতে পারেনই। সাথে বীজ কুমড়ার বীজ সহ নানা ধরণের বীজ রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
৬) ডার্ক চকলেট
পিরিয়ডের সময় প্রতিদিন কয়েক টুকরো ডার্ক চকলেট হতে পারে আপনার জন্য দারুণ উপকারী। ডার্ক চকলেটে চিনি নেই, ফলে ওজন বাড়বে না। বরং আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। এই চকলেট পিরিয়ড চলাকালীন বিষণ্ণতাও দূর করবে।
৭) সবুজ শাক
সবুজ শাক ও সালাদের পাতা জাতীয় খাদ্য এই মুহূর্তে আপনার সবচাইতে বেশী প্রয়োজন। এতে আছে প্রচুর আয়রন, যা শরীরের ক্ষয় পূরণে সহায়তা করবে। অবশ্যই প্রতি বেলার খাবারে রাখুন সবুজ পাতা, যেমন- বিভিন্ন ধরণের শাক ও সালাদ লিফ।

source:
2/19/2017 05:14:00 PM

দেহে অবাঞ্ছিত লোম, কী করবেন?

দেহে অবাঞ্ছিত লোম, কী করবেন?
নারীদেহে অবাঞ্ছিত লোম যাকে হারসুটিজম বলে তা সামাজিক যন্ত্রণা ও বিড়ম্বনার কারণ। এতে দৈহিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।
কোথায় হয়- সাধারণত মুখে, বুকে ও নাভিতে হয়ে থাকে। অনেকের এ রোগের সঙ্গে মাসিকচক্রে অনিয়ম, স্তন আকারে ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যাওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া ও পুরুষ সঙ্গীর প্রতি ক্রমান্বয়ে আকর্ষণ কমে যেতে থাকে। কারো কারো হারসুটিজমের সঙ্গে বন্ধা হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।
ল্যাব পরীক্ষা- রক্তের কিছু পরীক্ষা যেমন- সুগার, ভিডিআরএল, টিপিএইচএ, এইচবিএসএজি, হরমোন এনালাইসিস, আল্ট্রাসনোগ্রাম অব হেপাটো-বিলিয়ারি সিস্টেম করা হয়।
চিকিৎসা- লেজার নামক কসমেটিক সার্জারি এর একমাত্র চিকিৎসা। নিজস্ব আলোকরশ্মির মাধ্যমে এ লোমগুলো ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দূর করা হয়।
আইপিএল নামক চিকিৎসাও বাংলাদেশে হচ্ছে, কারো কারো একাধিক সেশনের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া শারীরিক ওজন বেশি থাকলে তা কমানোর চিকিৎসা হয়। হরমোন ইমব্যালেন্স থাকলে ওষুধ দেয়া হয়। পলিসিসটিক ওভারিও হাইপো থাইরয়েডিজমেরও চিকিৎসা করা হয়।
2/19/2017 05:11:00 PM

বসন্তের দাগ, ৫ মিনিটের পরিশ্রমে মিশে যাবে!



জলবসন্ত বা চিকেনপক্স একটি ছোঁয়াচে রোগের নাম। এ রোগ আমাদের অনেকেই কাবু করে ফেলে। রোগটি যেমন যন্ত্রণাদায়ক, তার থেকেও ভয়ানক এর স্মৃতিচিহ্ন। কারণ বসন্ত সেরে গেলেও মুখে ও সারা শরীরে থেকে যায় গর্ত বা দাগ। এতে আপনার চেহারাটা বিশ্রী দেখায়।
তবে দাগ নিয়ে বসে থাকলেই হবে, এ থেকে পরিত্রাণও তো জরুরী। তাহলে?
চিকিৎসকের মতে, ভেরিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত বা চিকেনপক্স হয়। প্রায় সব বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে, তবে শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেশী দেখা যায়।
বসন্তের বিরক্তিকর দাগ নিয়ে মোটেই ভাববেন না, কারণ হাতের কাছে আপনার ঘরেই রয়েছে এর সমাধান। ঘরের উপকরণে তৈরি মিশ্রণ মাত্র ৫ মিনিটের পরিশ্রমে মিশে যাবে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই :
ডাবের পানি : বসন্ত সেরে যাওয়ার পরপরই তুলায় ডাবের পানি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এছাড়া একটি ডাবের পানি গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর ব্যবহার করুন উপকার পাবেন। প্রতিদিন একটি কচি ডাবের পানি পান করতে পারেন।
ডাবের পানিতে আছে সাইটোকিন, যা ত্বকের ক্ষত পূরণ করে ও দাগ দূর করে।
বেকিং সোডা : দুই টেবিল চামুচ বেকিং সোডাতে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এই মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগান। ৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করলে উপকার পাবেন।
বেকিং সোডার অ্যালকালাইন উপাদান ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বসন্তের জন্য ত্বকে যে দাগ ও গর্তের সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস : এক চা চামচ লেবুর রস বের করুন। তুলার সাহায্যে এই লেবুর রস আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
সাবধানতা : লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড ব্লিচের মতো কাজ করে। নিয়মিত এই লেবুর রস ব্যবহারের পর রোদে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। নইলে আপনার সুন্দর মুখটা কালো ও মলিন হয়ে যাবে।


source:
2/19/2017 09:58:00 AM

যদি আমি জন্মনিরোধক বড়ি সেবন করছি এবং স্বামী আমার যোনীতে বীর্যস্থলন করেন তাহলে কি আমি গর্ভবতী হয়ে যাব?



নারীর
মনে প্রশ্নঃ যদি আমি জন্মনিরোধক
বড়ি সেবন
করছি এবং স্বামী আমার
যোনীতে বীর্যস্থলন
করেন
তাহলে কি আমি গর্ভবতী হয়ে যাব?
উত্তরঃ যদি জন্মনিরোধক
বড়ি সঠিক ভাবে/
সময়মত নেওয়া হয়
তাহলে গর্ভধারনের
সম্ভাবনা থাকেনা। তবে সঙ্গীর
যদি যৌনবাহীত রোগ
থাকে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবেনা।
মনে রাখবেন যে -
আপনি ঔষধ খাবার পর
বমি করেন, একই সাথে অন্য ঔষধ গ্রহন
করেন অথবা একদিন
জন্মনিরোধক বড়ি মিস্
যায়
তাহলে বড়ি দ্বারা কাজ
হবার সম্ভাবনা অনেক কম।
2/19/2017 09:31:00 AM

নারীদের চুল পড়া



**** নারীদের চুল পড়া ****
নারীদের চুল পড়া একটি অস্বস্তিকর
সমস্যা। পুরুষদের যেভাবে টাক
পড়ে সেভাবে চুল না ঝরে পড়লেও
নারীদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার
প্রবণতা খুব বেশি। আমাদের
সমাজে সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল
না হলে নারীদের
সুন্দরী বা সুশ্রী বলা মুশকিল। অল্প
বয়সে চুল না ঝরে পড়লেও বয়স বাড়ার
সাথে সাথে চুল পড়ে যাওয়ার
সম্মুখীন হন নারীরা।
নানা কারণে মেয়েদের চুল
পড়তে পারে-
হরমোন হরমোনের তারতম্যের
কারণে চুল পড়া একটি প্রধান সমস্যা।
হাইরয়েড হরমোনোর তারতম্যের
কারণে চুল পড়ে। এ
ছাড়া ইস্ট্রোজেনের কারণেও চুল
পড়তে পারে। তবে হরমোনজনিত
সমস্যায় চিকিৎসা করালে চুল
পড়া বন্ধ হয়।
সন্তান জন্মদান সন্তান জন্মদানের পর
তিন মাস নারীদের প্রচুর চুল
পড়তে পারে। এটিও হরমোনোর
কারণেই হয়ে থাকে।
তবে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন সঠিক
মাত্রায় চলে আসার পর চুল পড়া বন্ধ
হয়ে যায়। তবে খুব বেশি চুল
পড়ে পাতলা হয়ে গেলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
রজঃনিবৃত্তি মাসিক বন্ধ হওয়ার
পরে মহিলারা চুলের
সমস্যা নিয়ে বেশি ভোগেন। এ সময়
৩৭ শতাংশ মহিলার চুল
বেশি মাত্রায় ঝরে পড়ে। এ
ছাড়া হরমোন থেরাপি নেয়ার
কারণেও চুল পড়তে পারে।
নানা ধরনের অসুস্থতা বা অসুস্থতার
পরেও চুল
ঝরে পড়া সমস্যা হতে পারে।
তবে যে কারণেই চুল ঝরে পড়ুক তার
চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
কেননা এতে সৌন্দর্যহানী ঘটে যা খুবই
বিরক্তিকর। মহিলাদের
ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলের
নানা ফ্যাশন যেমন- রিবন্ডিং,
স্টেইট, পার্ম, ডাই, ব্লোয়ার ড্রাই
ইত্যাদি করার কারণে চুল
ঝরে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ
ছাড়া অনেকে নিজে থেকে ওজন
কমানোর জন্য কম খান
কিংবা পুষ্টিকর খাবার খান না।
এতে করেও চুলের ক্ষতি হয়। ওজন
কমাতে নিজে নিজে খাওয়া বন্ধ
না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চুল
পড়া হলে অবশ্যই এর কারণ
অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন।


source:

Thursday, February 16, 2017

2/16/2017 03:28:00 PM

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়

সারাদিনের কাজ, ধুলাবালি, রাস্তার কালো ধোয়া, রোদের তাপ সব শেষে বাসায় ফিরে আয়নার নিজের চেহারা দেখে অবাক হওয়াটা শুধু বাকি থাকে। মুখে কালো কালো ছোপ আর ধুলাবালিতে চেহারার উজ্জ্বলতা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে শুধু পানি বা সাবান দিয়ে মুখ ধুলেই কি সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায় না।কারন অনেকে মনে করে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। রূপচর্চা শুধুই মেয়েদের জন্যই। কিন্তু এই ধারণাটা কখনই ঠিক নয়। কারণ যেহেতু ছেলেদের কাজের প্রয়জনে বাইরে বেশী যেতে হয় সেহেতু তাদের ত্বক আরো দ্রুত কালচে হয় যায়। এক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা করলে চেহারার উজ্জ্বল্য আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব। তাই আজ আমরা তুলে ধরব কিভাবে ছেলেদের ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বল্য আমার ফিরিয়ে এনে তাকে আরো সুন্দর করা যায়। নিম্নে ছেলেদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি উপায় উপস্থাপন করা হলঃ 


১. ছেলেদের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার কয়েকটি উপায়ত্বককে বাইরের ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করুন। কারন বাইরের রোদের তাপ ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরী করতে পারে। ফলে ত্বকে সহজে কালচে ছোপ পড়ে। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় রোদের তাপ থেকে ত্বককে দূরে রাখতে হবে। বাইরে বেশীক্ষন অতিরিক্ত ধুলাবালি ও কড়া রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিতে হবে।
২. সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন মুখে স্ক্রাব করতে হবে। এখন বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। বিশেষ করে সাইট্রিক এসিড, গ্লিসারিন অয়েল, ফ্রুট যুক্ত স্ক্রাবগুলো ছেলেদের স্কিন এর জন্য অনেক ভাল হয়। কারণ স্ক্রাব ত্বক থেকে ধুলা, অতিরিক্ত তেল দূর করে স্কিনকে পরিষ্কার করে তোলে।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইস কিউব নিয়ে সম্পুর্ন মুখে ভালোভাবে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকে রক্ত চলাচল সচল থাকে। আর ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ ভালো থাকলে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হয়। এরপর যেকোনো একটা মশ্চারাইজার ক্রীম লাগিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে ম্যাসাজ করে নিন।
৪. একটা লেবু কেটে খোসাসহ মুখে ভালভাবে ঘষে নিন। লেবুর সাইট্রিক এসিড আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল, পিগমেন্টেশন, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি মুখের কালো দাগ দূর করে ত্বককে আরো ফর্সা করতে সাহায্য করে।
৫. প্রাকিতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে শসা খুব উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে শসার টুকরো দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন ব্যাবহারে ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়। এছাড়া শসার রস ত্বকে প্রাকিতিক মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।









source:
2/16/2017 03:17:00 PM

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা




মাসটেকটমি কী:::
মাসটেকটমি অপারেশন হলো পুরো স্তন কেটে ফেলা। যুগ যুগ ধরে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা কার্যকর হিসেবে চলে আসছে।
আগেকার দিনে রেডিক্যাল মাসটেকটমি অপারেশন করা হতো। এ পদ্ধতিতে পুরো স্তন, বগলের নিচের সব টিস্যু এবং স্তনের নিচের ও বুকের পাঁজরের ওপর এঁটে থাকা মাংসপেশি তুলে আনা হতো। যত বেশি টিস্যু অপারেশন করে ফেলা যায় ততই রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হতো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এত বড় অপারেশনের ধকল কাটিয়ে ওঠা খুবই কঠিন হতো এবং শরীরের আকারও বিকৃত হয়ে যেত।
সেকালের রোগীরা এ ধরনের অপারেশনকে প্রচণ্ড ভয় পেত। বর্তমানে রেডিক্যাল মাসটেকটমির আর প্রচলন নেই। অতিসম্প্রতি ত্বক রক্ষা করে মাসটেকটমি অপারেশন (স্কিন স্পেয়ারিন মাসটেকটমি) পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ অপারেশনে একই সঙ্গে স্তন কেটে ফেলা এবং স্তন পুনর্গঠন সার্থকভাবে করা যায়।
মাসটেকটমি করার আগে:::
মাসটেকটমি করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে নিতে হয়। তাই অপারেশনের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্জনের উপদেশ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
আপনার সব ওষুধের একটি তালিকা তৈরি করুন এবং অপারেশনের আগে সার্জনকে বলুন।
কারণ কোনো কোনো ওষুধে অপারেশনের সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এসপিরিন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে। কিছু ওষুধ অপারেশনের সপ্তাহখানেক আগেই বন্ধ করে দিতে হয়।
অপারেশনের আগের রাতে (মধ্যরাতের আগেই) সব ধরনের খাবার বন্ধ করে দিতে হবে। অপারেশনের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। যে বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে
তা হলো-
-- অপারেশনের ও অ্যানেসথেসিয়ার ঝুঁকি বর্ণনা করা হয়েছে কি না।
-- অপারেশনের সময় ও অ্যানেসথেসিয়া করার জন্য কী কী ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। রক্ত দেওয়া হবে কি না।
-- অপারেশনের কেটে ফেলা টিস্যু পরীক্ষা করা বা ফেলে দেওয়ার পর আপনাকে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। লামপেকটমি ও মাসটেকটমি অপারেশনে খুব কমসংখ্যক রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনো কোনো স্তন পুনর্গঠন অপারেশনে রক্ত দেওয়া জরুরি হয়ে যায়।
-- অ্যানেসথেসিওলজি চিকিৎসক অপারেশনের আগে আপনার রোগের ইতিহাস নিয়ে আপনাকে শারীরিক পরীক্ষা করবেন। আপনার অবস্থা অনুযায়ী অজ্ঞান করার জন্য ওষুধ নির্বাচন করবেন।
যে বিষয়গুলো অ্যানেসথেসিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো-
-- রোগের ইতিহাস এবং হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও রক্তপ্রবাহের কোনো সমস্যা।
-- ত্বকের প্রদাহ, সর্দি, কাশি, দাঁতের ক্ষয় বা ইনফেকশন; কোনো অ্যালার্জি, ধূমপান বা অ্যালকোহল পানের অভ্যাস; যেসব ওষুধ ব্যবহার করে আসছেন তার তালিকা তৈরি।
অপারেশনের পদ্ধতি ::
প্রথমে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট আপনার বাহুর শিরায় ছোট সুচ বসিয়ে আইভি লাইন চালু করবেন। কাজে সহায়তার জন্য আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং শরীরকে শিথিল রাখতে হবে। সার্জন তাঁর দল নিয়ে যখন অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হবেন, তখনই আপনাকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে। বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র আপনার শরীরে বসানো হবে, যেমন অটোমেটিক রক্তচাপ মেশিন, হার্ট মনিটর, ব্লাড অক্সিজেন মনিটর ইত্যাদি।
অ্যানেসথেসিওলজি বিশেষজ্ঞ আপনার শিরায় ওষুধ দেওয়ামাত্র আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন। মুখের ভেতর দিয়ে শ্বাসনালিতে একটি টিউব বসানো হবে, যাতে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার থাকে। অপারেশনের সময় রক্তচাপ, নাড়ির গতি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সব সময় সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
মাসটেকটমি অপারেশনে দু-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। স্তন টিস্যু ওপরে কণ্ঠহাড় থেকে নিচে বুকের পাঁজরের হাড় পর্যন্ত এবং পাশে বুকের মধ্যভাগ থেকে বগলের নিচে পেছনের মাংসপেশি পর্যন্ত বিস্তৃত। স্তনের দুই পাশে ডিম্বাকৃত করে ইনসিশন (ছেদন) করা হয়, যাতে স্তন টিস্যুকে পাঁজর থেকে আলাদা করা যায়।
পরে সার্জন স্তন টিস্যু কেটে বের করে আনেন। স্তনের চাকা খুব ছোট না হলে স্তনের প্রায় সব ধরনের অপারেশনের সঙ্গে সঙ্গে বগলের লসিকাগ্রন্থি কেটে বের করা হয়।
স্তনে ক্যান্সার হলে ক্যান্সারকোষ খুব সহজেই লসিকানালির মাধ্যমে বগলের লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে যায়। কেটে ফেলা সব স্তন টিস্যুই প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য প্যাথলজিস্টের কাছে পাঠানো হয়।
অপারেশনের পর স্তন বা স্তনের পিণ্ড ও বগলের লসিকাগ্রন্থিগুলোর হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা এবং অন্যান্য বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রয়োগমাত্রা নির্ভর করে।
যদি একই সঙ্গে স্তন পুনর্গঠন অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি থাকে, তাহলে এরপর প্লাস্টিক সার্জন তাঁর কাজ শুরু করবেন। অপারেশনে আরও এক ঘণ্টা থেকে ছয়-সাত ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।
মাসটেকটমি অপারেশন করার পর একটি বা দুটি ড্রেন টিউব ত্বকের নিচে বসানো হয়। যাতে অপারেশনের স্থানে জমে থাকা তরল (সেরোমা) বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। যদি ড্রেন টিউবসহ আপনি বাড়ি ফিরে যান তাহলে বিষয়টির যত্ন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন।
ভালো করে হাত ধুয়ে, সাকসান বাল্বটি ড্রেন টিউব থেকে আলাদা করে দিন। এবার ভালোভাবে লক্ষ করুন, বাল্বে জমে থাকা তরলের রং কী ও পরিমাণ কত এবং তা নোটখাতায় লিখে রাখুন। এবার বাল্বের তরল ঢেলে ফেলে দিন এবং বাল্বটি চেপে চেপে তরল ও বাতাস বের করে দিন।
এ অবস্থায় বাল্বটি আবার ড্রেন টিউবের সঙ্গে সংযোগ করে দিন। বায়ুশূন্য বাল্বটি আলতোভাবে ড্রেন টিউবের তরল টেনে বের করে নেয়। এভাবে ৫-১০ দিনে তরল জমা বন্ধ হয়ে যায়।
মাসটেকটমির পরে•••
অপারেশনের পর রোগীকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞান ফিরে এলে শরীরে ঠান্ডা বোধ হতে পারে। অজ্ঞান করার সময় গলায় যে টিউব বসানো হয়, তার জন্য গলায় ব্যথা হতে পারে। কয়েক ঘণ্টা তন্দ্রাচ্ছন্ন (আধো ঘুম আধো জাগরণ) ভাব থাকে।
অপারেশন যা-ই হোক, প্রতিটি মানুষ অপারেশনের পরপরই তার প্রিয় মুখ দেখতে চায়।
আপনার কিছু জানতে ইচ্ছে করলে সার্জনকে জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং প্রিয়জনকে দেখতে চাইলে তাকে আনার জন্য অনুমতি নিয়ে দেখা করতে পারেন।
মাসটেকটমির পর প্রায় সব রোগীকে দু-এক রাত হাসপাতালে থাকতে হয়। কিন্তু মাসটেকটমির সঙ্গে স্তনের পুনর্গঠন অপারেশন হলে আরও বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয়।
অপারেশনের পর একেকজন একেকভাবে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। অপারেশনের আগে যে রকম ভয় ভয় ভাব থাকে, অপারেশনের পর তা অনেকটা দূর হয়ে যায়। অনেকে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করতে সক্ষম হয় এবং সুস্থ হয়ে ওঠে।
বাড়ি ফিরে এলে শারীরিকভাবে হয়তো কিছুদিনের জন্য দুর্বলতা থাকতে পারে। তা অল্প দিনেই সেরে যায়।
কারণ অ্যানেসথেসিয়া (অজ্ঞান) এবং একটি বড় অপারেশনের পর ক্লান্তি বোধ হওয়া বা দুর্বলতা হওয়াটাই স্বাভাবিক। অপারেশনের স্থান না শুকানো পর্যন্ত সারা শরীরে পানি ঢেলে গোসল করা যাবে না। তবে মাথায় পানি দেওয়া যাবে, ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মোছা যাবে (স্পঞ্জ বাথ) কিন্তু অপারেশনের স্থানে পানি লাগানো যাবে না।
অপারেশনের পরপরই সংলগ্ন বাহুর নড়াচড়ায় খুব অসুবিধা হয়। কারণ অপারেশনের ক্ষত থাকায় বুক ও বাহুর মাংসপেশিতে জড়তা থাকে। বাহুর নড়াচড়া স্বাভাবিক করার জন্য অপারেশনের পর থেকেই চেষ্টা করতে হবে।
অনেক মহিলাই অপারেশনের ধকল কাটিয়ে ওঠার পরপরই কাজে যোগদান করে থাকেন। এমনকি কর্মরত অবস্থায় রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি চিকিৎসা চালিয়ে যান।
তবে আপনার কাজ যদি এমন হয় যে হাত দিয়ে অনেক ভারী জিনিস ওঠাতে হবে বা টানাটানি করতে হবে, সে ক্ষেত্রে হাতের জোর সম্পূর্ণ ফিরে না আসা পর্যন্ত সাময়িকভাবে ওই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা কাজ পরিবর্তন করে নিতে হবে।
বগলের লসিকাগ্রন্থি কেটে (এক্সিলারি লিম্ফনোড ডিসেকশন) বের করা হলে, বগলের নিচে এবং বাহুর ভেতরের দিকে বোধশক্তি কিছুটা লোপ পায়। কারণ অপারেশনের সময় ওই এলাকার স্মায়ুতে (নার্ভ) আঘাত হতে পারে। যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে বগলের নিচে শেভ করার সময় খুবই সতর্ক হতে হবে।
এ রকম অবশ বোধ কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের মধ্যেই সেরে যেতে পারে। কিন্তু আগের মতো স্বাভাবিক বোধশক্তি নাও ফিরে আসতে পারে। বগলের লসিকাগ্রন্থি অপারেশনের আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো বাহু ফুলে যাওয়া বা আর্ম ইডিমা। এর কারণ রেডিওথেরাপি চিকিৎসা বা অপারেশনের সময় লিম্ফ-নালিতে কোনো ক্ষত হওয়া। ফলে লিম্প-প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হাত ফুলে ওঠে। (চলবে)

source: