Breaking

Showing posts with label রোগ ব্যধি ও চিকিৎসা. Show all posts
Showing posts with label রোগ ব্যধি ও চিকিৎসা. Show all posts

Monday, February 26, 2018

2/26/2018 04:14:00 PM

যে চারটি খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন



আয়রন হলো শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান যা মিনারেল হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রাপ্ত বয়স্ক  একজন ব্যক্তির প্রতিদিন আট মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন। ১৯ থেকে ৫০ বছরের নারীদের প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম করে আয়রন গ্রহণ করতে হবে। গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারী মায়েদের প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১১ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা খুবেই জরুরি।

তাই আমাদের আয়রনের অভাব পূরণ করতে হলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার । আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবারের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

১. আনার


প্রথমেই রয়েছে আনার। আনারের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ, অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস । প্রতি  ১০০ গ্রাম আনারে রয়েছে  ০.৩ মিলিয়ন আয়রন। আনারকে সালাদ ও ডেসার্টে ব্যবহার করেও  খেতে পারেন।

২. বাদাম

দ্বিতীয়তে রয়েছে বাদাম। বাদামের মধ্যে রয়েছে চীনা বাদাম, কাঠবাদাম, ক্যাসোনাট, পিনাট ইত্যাদি হলো আয়রনের চমৎকার উৎস। ক্যাসোনাট এ আছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আয়রন। ৩০ গ্রাম ক্যাসোনাটে রয়েছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন। স্ন্যাকস হিসেবে এই বাদাম খেতে পারেন।

৩.আপেল

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আপেল। আপেল আয়রনের ভালো একটি উৎস। এর মধ্যে আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি। মধ্যমমানের একটি আপেলে রয়েছে ০.৩/১ মিলিগ্রাম আয়রন। আপেল  হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভালো কাজ করে। নাস্তার টেবিল এ ছাড়াও ডেসার্ট, সালাদ, অথবা স্মুদি তৈরিতে আপেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. খেঁজুর

সব শেষে রয়েছে খেজুর। খেঁজুর হলো আয়নের খুব চমৎকার একটি উৎস। এর মধ্যে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬। খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটিও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যা আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে রাখবে সুস্থ।

Sunday, February 25, 2018

2/25/2018 10:49:00 AM

আঁদার গুনাগুন্

আজ আমরা আঁদার গুনাগুন্ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

০১.
পেশী ক্লান্তি জন্য আদা গুঁড়া কি বেশি প্রয়োজন ?


কাঁধের ব্যথা থেকে বেঁচে থাকা তরুণ ব্যবসায়ী,

আলেকজান্দ্রিয়াতে আদা খাওয়াতে ব্যায়ামের কারণে পেশী ব্যথা দূর করার কাজ করে এমন পণ্ডিত ব্যক্তিরা প্রচার করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান বিভাগের ড. প্যাট্রিক ও'কন্নর, ডায়ালেসিক প্রভাব বাড়ানোর সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে 74 জন মানুষের জন্য 11 দিনের জন্য একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালিত করেছে। প্রতিদিন আদা 2 গ্রাম পাকস্থলিতে গ্রহণ করা হয়, পেশী প্রশিক্ষণ চ্যালেঞ্জ করার জন্য।

পেশীর ব্যাথা পরীক্ষা করার পর, গতি এবং ক্লান্তি পরিস্থিতি দেখা যায় যে, প্রতিদিন প্রায় 30 শতাংশ মানুষের পেশী ব্যথা কমে যায়।


০২.
মেটাবোলিজমে আঁদার গুনাগুন্।


কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পুষ্টির গবেষণা  টিম ২০১২ সালে এই ধরনের একটি উপস্থাপনা তৈরি করে এবং এটি একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে ওঠে। "আদা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এবং ক্ষুধা হ্রাস করতে সক্ষম তাই আদা খুবেই দরকারি "।

গবেষণাপত্রগুলির সারসংক্ষেপে, শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে বিপাক ঘটে, ফলে কম শক্তি খরচ হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয় যা বিপাক প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। অতএব, আদা ব্যবহার করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ হবে।

ধারণা করা হয় ,আদা শরীরের তাপমাত্রা প্রায় 12% বৃদ্ধি করে। বিন্দু শরীরের এই উদ্ভিজ্জ সঙ্গে warms যে হয়, যুক্তি বিপাক প্রচারের মাধ্যমে বিপাক মুখোমুখি হয়।
এক টুকরো আদা শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং হজম প্রকিয়া আরো শক্তিশালী করে।


০৩.
আপনার ত্বকে ইউভি (UV) সুরক্ষা জন্য আদা।
ব্যাংকক এর চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিক্যাল রিসার্চ টিম দ্বারা পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, আদা সূর্যের  অতিবেগুনী আলোকে শোষণ করার ক্ষমতা রাখে, যা অতিবেগুনী আলোতেও UVB (অতিবেগুনী বি তরঙ্গ) এর সাথে সম্পর্কিত ডিএনএ ক্ষতি থেকে ত্বকের রক্ষা করে।

০৪.
"সকালে অসুস্থতা হ্রাস"
ভয়েস বলছে যে ,

এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক উপসর্গ যেমন বুকজ্বালা এবং বমি বমি ভাব, এছাড়াও "সকালে অসুস্থতা" জন্য আদা খুব ভালো কাজ করে ।

উদাহরণস্বরূপ,("মেডিকেল ডেইলি") আমেরিকান গর্ভবতী মহিলা সমিতি থেকে  গর্ভবতী মহিলাদের যা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা হলো,  আদার  চা এবং আদার জ্যাম (চাটনি)। এদিকে, গবেষকরা বলছেন, "সম্ভবত আদার কার্যকারিতা সীমিত এবং কিছু  সীমাবদ্ধতার রয়েছে"। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এর পৃথক দৃষ্টিকোণ থাকলেও আদার গুনাগুন অপরিমেয়।

০৫.
অপ্রীতিকর পরিণামের জন্য

আপনি প্রায়ই পেটের হজম জনিত সমস্যায় পড়েন । তাই আদা কিভাবে শরীরের পাকস্থলিতে কাজ করে তা আমরা জানবো।

ভারতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা একটি গবেষণায়, তীব্র উপাদান হিসেবে আদার রস সুপ্ত গ্যাস্ট্রিক এবং হজম উন্নত করে বলে মনে করা হয়। ফলে আদা বদ-হজম জনিত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও, সকালে আদার চা এর উপকারিতা অনেক । শুধু মাত্র শরীর উষ্ণ রাখতে নয়, বরং পেটের নানান সমস্যার সমাধান হিসেবে এবং বমি বমি ভাব দূর করতেও আদার গুরুত্ব অনেক।




Monday, February 20, 2017

2/20/2017 10:32:00 AM

বুক জ্বালাপোড়া: কারণ ও প্রতিকার


॥ শারীরিক সমস্যার মধ্যে বুক জ্বালাপোড়া একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। কিন্তু এই বুক জ্বালাপোড়া করলে তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেই আজকের এই প্রতিবেদন।
আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত। আমরা নিজেরাও অনেকটা যন্ত্রের মত হয়ে গেছি। আমাদের দেহটা একটা যন্ত্রই বলা যায়। দেহের কোথাও কোন সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে সারা শরীরে। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছোট বড় অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো বুক জ্বালাপোড়া বা Heart burn।
বর্তমানে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে একবারের জন্যও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগে নাই। আপনাদের জন্য আমাদের আজকের প্রতিবেদন হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়া। তাহলে আসুন আমরা স্বল্প পরিসরে জানার চেষ্টা করি বুক জ্বালাপোড়া কি? কি কারণে হয়? এবং কি হতে পারে এর প্রতিকার?
বুক জ্বালাপোড়া কি?
বুক জ্বাল পোড়া হচ্ছে-বুকের ভিতরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে শুরু করে গলা পর্যন্ত জ্বালাকর অনুভুতি। এই জ্বালা কখনও কখনও শুধু বুকে আবার কখনও কখনও শুধু গলায় বা উভয় স্থানে হতে পারে। মাঝে মাঝে জ্বালার সাথে ব্যাথ্যা থাকতে পরে। মাঝে মাঝে কিছু তরল পদার্থ পাকস্থলী থেকে গলনালী দিয়ে মুখ চলে আসে, অর্থাৎ উল্টা পথে ধাবিত হয়, একে বলা হয় Gastro esophageal reflax.
বুক জ্বালপোড়ার কারণ কি?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দীর্ঘ দিনের গবেষণায় বুক জ্বালাপোড়ার যে সকল কারণ বেরিয়ে এসেছে সেগুলো হচ্ছে –
# অ্যালকোহল সেবন করা।
# চা, কফি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা।
# কালো গোল মরিচ, সিরকা যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
# তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া বেশি পরিমাণে খেলে বুক জ্বালাপোড়া হয়।
# আচার, টমেটোর সস, কমলার রস, পেয়াজ, পিপারমেন্ট ইত্যাদি খাবার বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দেয়।
# মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাও বুক জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী।
# ধুমপান হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়ার আরও একটি অন্যতম কারণ।
# পিত্ত থলিতে পাথর থাকলেও বুক জ্বালাপোড়া হয়।
# পাকস্থলীর উপর চাপ পড়লে বুক জ্বালাপোড়া হয়। পাকস্থলীর উপর চাপ বলতে বুঝায়- এক সাথে বেশি পরিমাণ খাওয়া, স্থুলতা, গর্ভাবস্থা, শক্ত ও মোটা বেল্টের প্যান্ট পড়া ইত্যাদি।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বুক জ্বালাপোড়ার লক্ষণ কি কি হতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনি আসলেই বুক জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন।
নিচের লক্ষণগুলোই হল বুক জ্বালাপোড়ার লক্ষণ:
# পেটের উপরের দিকে মৃদু ব্যথ্যা হওয়া।
# বুকে ব্যথ্যা হওয়ার সাথে জ্বালা ভাব থাকে।
# বুক জ্বালা কখনও খাবার গ্রহণের পরে হয়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে পেট খালি থাকলে হয়।
# মাঝে মাঝে ঢেকুর উঠে।
# বুক ব্যাথ্যা – এটি হচ্ছে বুক জ্বালার একটি লক্ষণ। পাকস্থলীর এসিড সম্প্রসারিত হয়ে খাদ্যনালীর উপর পর্যন্ত চলে আসে এবং বুকে ব্যথ্যা ও জ্বালা হয়। এই ব্যাথ্যা ও জ্বালা কখনও স্বল্পস্থায়ী আবার কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয়। বুকের ব্যথ্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় ও বাম বাহুতে চলে আসে এবং ব্যায়াম করার সময় বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
# বিশ্রামের সময় বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যাথ্যার বৃদ্ধি হয়। আমরা যখন শুয়ে থাকি বা আধো শোয়া অবস্থায় থাকি তখন এসিড খাদ্যনালী দিয়ে উপরে উঠে আসে। ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়। Dr. Coyle এর মতে, আমরা যখন সোজা হয়ে বসে থাকি তখন মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে খাদ্যবস্তুসমুহ পাকস্থলীতে থাকে, তাই বুক জ্বালাপোড়া কম হয়।
# মুখে তিতা স্বাদ অনুভুত হওয়া। এই ঘটনা সকালের দিকে বেশি ঘটে।
# স্বরভঙ্গ – স্বরভঙ্গ হচ্ছে বুক জ্বালপোড়ার একটি অস্বাভাবিক লক্ষণ। ঠাণ্ডা
লাগার প্রথম অবস্থায় যে রকম হয় ঠিক সে রকম হয়। অমস্ন বা এসিড গলা পর্যন্ত উঠে আসার কারণে এরকম হয়। এসিড কন্ঠস্বরকে ভারি করে তোলে।
# গলায় ক্ষত – বুক ও গলা জ্বালার সাথে গলায় ক্ষত হয়। মনে হয় যেন গলা ছিলে গেছে। এসিড খুব ক্ষতকারী তাই এই রকম হয়। খাদ্য গ্রহণের পরপর এ রকম হলে বুঝতে হবে এটা বুক জ্বালাপোড়ার সাথে সম্পৃক্ত।
# খাদ্য গ্রহণের পরপর কাশি শুরু হয়। পাকস্থলীর এসিড ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে, বুক জ্বালার সাথে সাথে শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
# বমিবমি ভাব ও বমি হতে পারে। মুখে অতিরিক্ত লালা উঠতে থাকে।
# দীর্ঘ দিন যাবৎ বুক জ্বালাপোড়া চলতে থাকলে এসিডের কারণে খাদ্যনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে খাবার গিলতে কষ্ট হয়।
বুক জ্বালাপোড়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়:
একটি কথা প্রচলিত আছে যে, Prevention is batter then cure অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া ভাল। ওষুধ ব্যতীত বুক জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা আমাদের সবার জন্য দরকার। নিয়ম গুলো হলো:
> যেসব খাবার ও পানীয় খেলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া করে সেগুলো চিহ্নিত করুন এবং এড়িয়ে চলুন।
> ধুমপান বর্জন

source:

Sunday, February 19, 2017

2/19/2017 08:19:00 PM

মাথা ব্যাথা ও সর্দি রোধে কালো জিরা



মাথা ব্যথা ও সর্দি হলে কিছু
পরিমানে কালোজিরা একটা পুটলির
মধ্যে বেঁধে কিছুসময় ধরে ঘ্রাণ নিতে থাকুন।
শুনতে অদ্ভুত লাগছে?
এটা কিন্তু আসলেই আপনার
মাথা ব্যথা ও সর্দি কমিয়ে দিবে।...........
2/19/2017 07:18:00 PM

একজিমা হলে কী করবেন?


যাঁদের একজিমা বা চর্মরোগ আছে, তাঁদের জন্য সময়টা খারাপ। এই রোগীর ত্বক এমনিতেই শুষ্ক ও খসখসে থাকে, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় তা আরও প্রকট হয়। চুলকানি থাকে প্রচণ্ড, আর নখ দিয়ে চুলকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। অনেক সময় সংক্রমণও হয়ে যায়। ধুলাবালু, ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস, অনেক সময় ডিটারজেন্ট বা সাবান—এসব জিনিস ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি—দুটোই বাড়ে।
একজিমা রোগীদের ত্বককে আর্দ্র রাখতে হবে। গোসলে বেশি গরম পানি ব্যবহার করবেন না, বেশি বেশি সাবান বা শ্যাম্পুও নয়। গোসলের পর অতিরিক্ত ঘষাঘষি করে না শুকিয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে পানি সরিয়ে নিন ও আর্দ্র অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা তেল মেখে নিন। পুরু ময়েশ্চার যা দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখে, সেটাই ভালো। যেসব ক্রিম বা লোশনে বাড়তি সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান নেই, সেগুলোই বেছে নিন।
চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন খেতে পারেন। এরপরও যাঁদের ভীষণ চুলকানি হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজিং লোশন ও এই স্টেরয়েড ক্রিম একই জায়গায় একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না।
সমস্যা আরও বেশি প্রকট হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইমিউন মডুলেটর ওষুধ ব্যবহার করা যায়। একজিমা কখনো পুরোপুরি সারবে না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।

ডা. তাহমিনা আক্তার
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

জীবনযাপন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
শীতে চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে
শীতে চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে
শীতের সময় ত্বক আর চুলের যত্নে অনেকেই তৎপর থাকেন। শীতের সময় ত্বক আর চুলের পাশাপাশি চোখের জন্য বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কী ধরনের খাবার খেলে হাড় ভালো থাকবে?উত্তর: হাড় সুস্থ রাখার জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
আপনার রাশিফল
আপনার রাশিফল
আজ ১২ ডিসেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা
শীতে যা খেলে পাবেন ঝকমকে মুখ
শীতে যা খেলে পাবেন ঝকমকে মুখ
শীতকালে অনেকের মুখের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সতেজ করতে অনেকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তবে ত্বকে সজীবতার জন্য
হৃদ্‌রোগ এড়াতে ‘সিম্পল সেভেন’
হৃদ্‌রোগ এড়াতে ‘সিম্পল সেভেন’
দৈনন্দিন জীবনে শুধু সাতটি সহজ বিষয় রপ্ত করতে পারলেই ২০২০ সাল নাগাদ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু ২০ শতাংশ কমে যাবে। আমেরিকান
পাঠকের মন্তব্য (০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন

প্রচ্ছদ
আজকের পত্রিকা
খেলা
বিনোদন
মতামত
বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক
অর্থনীতি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
দূর পরবাস
জীবনযাপন
শিক্ষা
আমরা
শিল্প ও সাহিত্য
বিশেষ সংখ্যা
পাঁচমিশালি
২২২১
ফিচার
ছবি
ভিডিও
ডাউনলোড প্রথম আলো অ্যাপ
ডেস্কটপ সাইট দেখুন
সম্পাদক ও প্রকাশক: মতিউর রহমান
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । প্রথম আলো ১৯৯৮ - ২০১৬
2/19/2017 07:01:00 PM

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন
সুন্দর ত্বকের জন্য অনেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবহার করেন। যদিও কিছু ভুলের জন্য ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
এ লেখায় দেওয়া হলো ১০টি কাজ, যা ত্বকের ক্ষতি করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ঘুমের অভাবে চেহারায় যে ছাপ পড়ে তা মানুষের মুখ ও চোখ দেখলেই বোঝা যায়। আর তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
২. অলস জীবনযাপন
আপনি যদি আলসেমিপূর্ণ জীবনযাপন করেন তাহলে ত্বকের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এ ক্ষেত্রে ত্বকে অকালেই বলিরেখা পড়ে এবং ত্বক বুড়িয়ে যায়। তবে আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটেন বা শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
৩. মানসিক চাপে থাকা
মানসিক চাপের প্রভাব আপনার ত্বকে পড়বেই। আর আপনি যদি প্রতিদিন চাপের মধ্যে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্যও সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে।
৪. মেকআপসহ ঘুম
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেরই মেকআপের প্রয়োজন হয়। যদিও এ মেকআপ প্রয়োজন শেষে ভালোভাবে উঠিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় তা আপনার সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট করবে।
৫. অতিরিক্ত সূর্যতাপ
আপনি যদি অতিরিক্ত সময় সূর্যতাপে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো সূর্যতাপ এড়িয়ে চলা ও সূর্যতাপে ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
৬. ত্বকের অযত্ন
ত্বকের যত্ন করারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা রোধ করতে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার ও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যেতে পারে।
৭. কোমল পানীয় পান
অনেকেরই বাড়তি কোমল পানীয় পান করা অভ্যাস রয়েছে। আর এ অভ্যাসের কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত তাজা ফলমূল না খান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হবে। সুন্দর ত্বকের জন্য বাড়তি পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া তেল-চর্বি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
৯. ধূমপান
ধূমপানের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। আর ধূমপান শুধু ফুসফুসের ওপরই নয়, সারা দেহের ওপরই প্রভাব বিস্তার করে।
#লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 06:58:00 PM

আপনি কি বাচ্চা প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন ?

আপনি কি প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন

একটি দম্পতির কাছে সবচেয়ে সুখকর পর্ব হল গর্ভধারণ। গর্ভবতী মায়েরা প্রসবের দিন এগিয়ে আসার সময়কালে অতিরিক্ত আবেগময় ও হরমোনাল হয়ে পড়েন, এবং এটি একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, একটি পূর্ণ মেয়াদ শিশু প্রসব করতে নয়টি পূর্ণ মাস সময় লাগে। এই নয় মাস সন্তানসম্ভবা মা এবং পরিবার দুঃখ সুখে ভরা থাকে| তবে এটি বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে যখন প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। প্রসবের ধাপগুলি কয়েক দিনের মধ্যে ঘটতে পারে আবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে, কিছু ভাগ্যবতী মহিলার ক্ষেত্রে কয়েক মিনিটের মধ্যেও ঘটতে পারে।

অধিকাংশ নারী যারা প্রাকৃতিকভাবে প্রসবে ইচ্ছুক হন, তাদের এই প্রসবের পর্যায়টি একটি ভয়ানক মুহূর্ত হয়ে ওঠে কিন্তু প্রক্রিয়া শেষে নবজাতকে কোলে নেওয়ার আনন্দটি বহুমূল্যের।

সিজারিয়ান ডেলিভারি বেদনাদায়ক নয় নরমাল ডেলিভারির থেকে, কারণ এতে প্রসবের প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। সিজারিয়ান বিভাগে, গর্ভবতী মহিলাকে স্পাইনাল কর্ডে এনেস্থেসিয়ার ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। এনেস্থেশিয়া শরীরের নিচের অংশ অবশ করে দেয়। শিশুকে তারপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রসব করানো হয়।

সন্তানসম্ভবা মহিলারা যারা স্বাভাবিক প্রসবের তিনটি পর্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন, তারা এই নিবন্ধটি বিস্মৃতভাবে জেনে নিন। নিবন্ধটি প্রসবের লক্ষণ ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে আপনাকে পরামর্শ দেবে।

প্রসবের লক্ষণ: যখন জরায়ুতে চাপ অনুভব হয়, শক্তির মাত্রার পরিবর্তন হয় এবং রক্তের স্রাব নিঃসরিত হয়, বুঝতে হবে শিশুর প্রসবের সময় হয়ে এসেছে। সংকোচনের সময়টি পর্যবেক্ষণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। লেবার এবং ডেলিভারি তিনটি ভাগে বিভক্ত। গর্ভাবস্থায় প্রথম পর্যায়ের লেবারের ধাপ প্রথম পর্যায়ে জরায়ুর সম্পূর্ণ প্রসারণ ঘটে| প্রথম পর্যায়টি আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত যেমন প্রাথমিক লেবার, সক্রিয় লেবার এবং পরিবর্তনকালীন লেবার।

প্রাথমিক লেবার - এটি সবচেয়ে বেদনাদায়ক পর্যায়। এই সময়ে সারভিক্সের তরলীকরণ এবং প্রসারণ হয়ে থাকে। জরায়ুর অন্তত তিন থেকে চার সেন্টিমিটার প্রসারণ হওয়া আবশ্যক। এই প্রাথমিক লেবারের পর্যায়টি, সপ্তাহখানেক, কিছু দিনের জন্য, এমনকি কয়েক ঘন্টার জন্য ঘটতে পারে।

সক্রিয় লেবার - এই পর্যায়ে সংকোচন এবং ব্যথা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং জরায়ুর দশ সেন্টিমিটার প্রসারণ ঘটে। পরিবর্তনকালীন লেবার - এই সময়ে সংকোচন অনেক শক্তিশালী হয় এবং দুই থেকে তিন মিনিট ব্যবধানে ঘটে| ব্যথা এবং সংকোচন, প্রতিটি পর্যায়ের মধ্যে নব্বই সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দাঁত নড়া সমস্যার তেরোটি ঘরোয়া প্রতিকার সেদ্ধ সবজি খাওয়ার দশটি উপকারিতা ওপরের ঠোঁটের লোম দূর করার ছয়টি ঘরোয়া প্রতিকার গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ এই ধাপটির জন্য মায়েরা সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন।

এই পর্যায়ে, জরায়ুর সম্পূর্ণরূপে প্রসারণ ঘটে এবং তখন শিশু গর্ভ থেকে বের হয়ে আসতে প্রস্তুত। এই পর্যায়ে মহিলাদের শান্ত এবং স্বচ্ছন্দ থাকতে হবে, এবং ব্যথা সহ্য করতে হবে (তার যোনিতে সামান্য জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন যখন শিশুর মাথাটি বাইরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়) গর্ভাবস্থায় তৃতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ শিশুর প্রসবের পর, জরায়ু থেকে গর্ভের ফুলটি অপসারণ করা হয়ে থাকে| কেউ কেউ এই ধাপটিকে দ্বিতীয় শিশু বলে থাকে। এই পর্যায়ে, মহিলারা হালকা সংকোচনের মুখোমুখি হন। গর্ভের ফুলটি জরায়ুর প্রাচীর থেকে নিজেকে আলাদা করে নেয় এবং যোনি থেকে বেরিয়ে আসে। এটা তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়।

লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 06:53:00 PM

যে কারণে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদকম্পন বেশি হয়!

যে কারণে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদকম্পন বেশি হয়
অনলাইন ডেস্ক: সাধারণভাবে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন না যে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হৃদকম্পন সংঘটিত হয় যা সাম্প্রতিক সময়ের এক গবেষনায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
কানাডার বিখ্যাত গবেষকদের কর্তৃক পরিচালিত এক গবেষনায় বলা হয়, পুরুষের ঘন্টায় কম্পন রেটিং যেখানে ১.৭ অনুভূত হয় নারীদের সেখানে ২.৩।
বিজ্ঞান জাতীয় একাডেমি নামে এক সাময়িক পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় যে, রেটিং থেকে বুঝা যায়, নারীরা সন্ধ্যার সময় পুরুষের চেয়ে বেশি ক্লান্ত কিংবা ঘুমঘুমভাব অনুভব করেন।
ল্যাংকসটার মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ প্রভাষক ডা.এডাম টেইলর বলেন, এ পার্থক্যগুলো হয় আসলে যৌন হরমোনের প্রভব
এ সকল হরমোন আমাদের হৃদকম্পন ওঠা-নামা, আমাদের চুলের ক্ষেত্রেও দারুন প্রভাব ফেলে কিংবা আমাদের খাদ্য হজম কিংবা পরিপাকতন্ত্রের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে।
আমেরিকার ক্লিনিক্যাল এণ্ড ক্লাইম্যাটোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর গবেষনায় বলা হয়, নারীদের তুলনায় পুরুষের পাকস্থলী কিছুটা বড়। ফলে পুরুষ খাবার হজম করতে কিছুটা কম সময় লাগে। অপরদিকে, নারীদের পাকিস্থলী আকারে ছোটে এবং খাদ্য হজম করতে বেশি সময় লাগে, ফলে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদকম্পন বেশি সংঘট হয়
লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।
2/19/2017 06:46:00 PM

পুড়ে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎস

পুড়ে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎস
পুড়ে যাওয়া সাধারণত তিন ধরনের
১ম ডিগ্রী: তাপ লেগে চামড়া লাল হয়ে যায়। কোনো ফোস্কা পড়ে না।
২য় ডিগ্রী: চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে।
৩য় ডিগ্রী: পুড়ে যাওয়ার গভীরতা চামড়া ভেদ করে মাংস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পুড়ে যাওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা রোগীকে দ্রুত আগুনের উৎস থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
* পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে মোটা কাপড় বা কম্বল দিয়ে রোগীকে জড়িয়ে ধরতে হবে। এবং মাটিতে শুয়ে গড়াতে হবে। এতে আগুন নিভে যাবে।
* শরীরের যে অঙ্গ পুড়ছে সেখানে পানি ঢালতে হবে। ;
* ১ম ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পানি ঢাললেই হবে, আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। পানি ঢালতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট।
* ২য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে পানি ঢালতে হবে, ১-২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ফোস্কা গরানোর দরকার নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
* ৩য় ডিগ্রী পোড়ার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত। হাপাতালে নেওয়ার পূর্বে পোড়া স্থানে পানি ঢালতে হবে।

আপনি কি জানেন?
** প্রতিদিন একটি আপেল আপনাকে
ডাক্তার
থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন
একটি তুলসী পাতা আপনাকে ক্যান্সার
থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন একটি লেবু আপনাকে মেদ
ভূড়ি থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আপনাকে
হাড়ের
অসুখ থেকে দূরে রাখবে।
** প্রতিদিন তিন লিটার পানি
আপনাকে সকল
রোগ থেকে দূরে রাখবে।


source:
2/19/2017 05:14:00 PM

দেহে অবাঞ্ছিত লোম, কী করবেন?

দেহে অবাঞ্ছিত লোম, কী করবেন?
নারীদেহে অবাঞ্ছিত লোম যাকে হারসুটিজম বলে তা সামাজিক যন্ত্রণা ও বিড়ম্বনার কারণ। এতে দৈহিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।
কোথায় হয়- সাধারণত মুখে, বুকে ও নাভিতে হয়ে থাকে। অনেকের এ রোগের সঙ্গে মাসিকচক্রে অনিয়ম, স্তন আকারে ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে যাওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া ও পুরুষ সঙ্গীর প্রতি ক্রমান্বয়ে আকর্ষণ কমে যেতে থাকে। কারো কারো হারসুটিজমের সঙ্গে বন্ধা হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়।
ল্যাব পরীক্ষা- রক্তের কিছু পরীক্ষা যেমন- সুগার, ভিডিআরএল, টিপিএইচএ, এইচবিএসএজি, হরমোন এনালাইসিস, আল্ট্রাসনোগ্রাম অব হেপাটো-বিলিয়ারি সিস্টেম করা হয়।
চিকিৎসা- লেজার নামক কসমেটিক সার্জারি এর একমাত্র চিকিৎসা। নিজস্ব আলোকরশ্মির মাধ্যমে এ লোমগুলো ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দূর করা হয়।
আইপিএল নামক চিকিৎসাও বাংলাদেশে হচ্ছে, কারো কারো একাধিক সেশনের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া শারীরিক ওজন বেশি থাকলে তা কমানোর চিকিৎসা হয়। হরমোন ইমব্যালেন্স থাকলে ওষুধ দেয়া হয়। পলিসিসটিক ওভারিও হাইপো থাইরয়েডিজমেরও চিকিৎসা করা হয়।
2/19/2017 05:12:00 PM

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন?

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন?
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অধিকাংশ কারণ মূলত অজানা।
প্রশ্ন : নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রচলিত কারণ কী। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে দ্রুত কী করবেন।
উত্তর : আসলে দু-এক ফোঁটা রক্ত পড়লেও মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। আসলে এখানে আতঙ্কের কোনো প্রয়োজন নেই। নাকের ৯৫ ভাগ রক্ত পড়ার কারণ জানা যায় না। ২০ বছর বয়স হয়েছে কোনো ব্যক্তির, তবে তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়েনি এমন কখনো হয় না। মানে এটা হবেই। এখন কথা হলো নাক দিয়ে রক্ত পড়লে আমরা কী করব। ওই ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে কী করবেন।
নাক দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই রক্ত পড়তে পারে। এটা হতে পারে নাক বাঁকা থাকলে। সাইনোসাইটিস থাকলে হতে পারে। নাকের মধ্যে কোনো টিউমার থাকলে হতে পারে। হতে পারে কোনো ব্লিডিং ডিজঅর্ডারে।
এখন ওই ব্যক্তি কী করবেন যার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে? উনি নাক টিপে চেপে ধরে অন্তত পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে চুপচুাপ বসে থাকবেন, তাহলে ঠিক হয়ে যাবে।
সামনের দিকে একটু ঝুঁকে থাকলে ভালো। অথবা বরফ দেওয়া পানি একটু সময় দিলে, এটা ঠিক হয়ে যায়। যদি ঠিক না হয়, তাহলে উনি নাক চেপে ধরে বা পার্শ্ববর্তী যেকোনো চিকিৎসকের কাছে যাবেন। অথবা উনি তাঁর রোগটি নির্ণয় করতে পারবেন যে কী হয়েছে।
যেকোনো কারণেই নাক দিয়ে রক্ত পড়ুক না কেন এটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু নিয়মমতো আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।


source:
2/19/2017 05:11:00 PM

বসন্তের দাগ, ৫ মিনিটের পরিশ্রমে মিশে যাবে!



জলবসন্ত বা চিকেনপক্স একটি ছোঁয়াচে রোগের নাম। এ রোগ আমাদের অনেকেই কাবু করে ফেলে। রোগটি যেমন যন্ত্রণাদায়ক, তার থেকেও ভয়ানক এর স্মৃতিচিহ্ন। কারণ বসন্ত সেরে গেলেও মুখে ও সারা শরীরে থেকে যায় গর্ত বা দাগ। এতে আপনার চেহারাটা বিশ্রী দেখায়।
তবে দাগ নিয়ে বসে থাকলেই হবে, এ থেকে পরিত্রাণও তো জরুরী। তাহলে?
চিকিৎসকের মতে, ভেরিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত বা চিকেনপক্স হয়। প্রায় সব বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে, তবে শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেশী দেখা যায়।
বসন্তের বিরক্তিকর দাগ নিয়ে মোটেই ভাববেন না, কারণ হাতের কাছে আপনার ঘরেই রয়েছে এর সমাধান। ঘরের উপকরণে তৈরি মিশ্রণ মাত্র ৫ মিনিটের পরিশ্রমে মিশে যাবে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই :
ডাবের পানি : বসন্ত সেরে যাওয়ার পরপরই তুলায় ডাবের পানি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এছাড়া একটি ডাবের পানি গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর ব্যবহার করুন উপকার পাবেন। প্রতিদিন একটি কচি ডাবের পানি পান করতে পারেন।
ডাবের পানিতে আছে সাইটোকিন, যা ত্বকের ক্ষত পূরণ করে ও দাগ দূর করে।
বেকিং সোডা : দুই টেবিল চামুচ বেকিং সোডাতে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এই মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগান। ৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করলে উপকার পাবেন।
বেকিং সোডার অ্যালকালাইন উপাদান ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বসন্তের জন্য ত্বকে যে দাগ ও গর্তের সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস : এক চা চামচ লেবুর রস বের করুন। তুলার সাহায্যে এই লেবুর রস আক্রান্ত স্থানে ভালো করে লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
সাবধানতা : লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড ব্লিচের মতো কাজ করে। নিয়মিত এই লেবুর রস ব্যবহারের পর রোদে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। নইলে আপনার সুন্দর মুখটা কালো ও মলিন হয়ে যাবে।


source:
2/19/2017 04:49:00 PM

সব ভুলে যাচ্ছেন?স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা রাখতে ৫টি টিপস

সব ভুলে যাচ্ছেন?
স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা রাখতে ৫টি টিপসএই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চেনা লোকের নামটি হঠাত্‍‌ করেই মনে করতে পারছেন না? কোথায় কী রাখছেন, পরক্ষণেই ভুলে যাচ্ছেন? বই পড়ে মনে থাকছে না? কাল কী খেয়েছিলেন, আজ মনে করতে বেগ পেতে হচ্ছে? নিশ্চিত ভাবে আপনার স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে। কী করে চাঙ্গা রাখবেন আপনার মস্তিষ্কের কোষকে? স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৫টি টিপস আপনার জন্য।
১. ব্যায়াম করুন, চাঙ্গা থাকুন
ব্যায়াম বা দৌড়ঝাঁপে শুধু শরীরই চাঙ্গা থাকে না, মস্তিষ্কও চনমনে থাকে। তাই সকালটা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করলে, এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। কাজে ঠিকমতো মনোনিবেশও করতে পারবেন। দেওয়ালে বারবার বল ছুড়ে ক্যাচ ধরুন, এতেও মনোযোগ বাড়বে।
২. রাতে ভালো করে ঘুমোতে হবে
মস্তিষ্ক বা স্মৃতিশক্তিকে চাঙ্গা রাখতে রাতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা এখনই স্মৃতিবিভ্রমে ভুগছেন, রোজ ভালো করে ঘুমনোর উপর জোর দিন। রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। শুতে যাওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগে টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। ওইসময় স্মার্টফোন বা ট্যাব নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না। রাতে যাতে ঘুম ভালো হয়, তার জন্য সারাদিনে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কম খেতে হবে।
৩. মস্তিষ্ককে শাণিত করতে হবে
ঘষতে ঘষতে ধার হয়, মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তাই। বয়সের সঙ্গে স্মৃতিবিভ্রমের ঝুঁকি এড়াতে হলে মস্তিষ্কে নানা কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। রোজ কাগজ দেখে শব্দছক, সুদোকু করলেও ভালো মাথা খাটানো হয়। এ ছাড়াও নতুন নতুন জিনিস শিখতে হবে। লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে। তাতে মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হবে।
৪. ধকল যত কমাতে পারবেন, ততই মঙ্গল
কাজকম্ম করতে হলে দিনশেষে শারীরিক ধকল থাকবেই। কিন্তু, সেই ধকল যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কাজের চাপ বাড়িয়ে নেবেন না। শরীর না দিলে, মাঝেমধ্যে 'না' বলতে হবে। কারণ ক্রনিক স্ট্রেস আপনার মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে। যার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তিতে। তীব্র হতাশা থেকেও স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে পারে
৫. কী খাচ্ছেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ
স্মৃতিশক্তি পুনরুদ্ধারে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে আগে বাদ দিন। প্রচুর শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই জোর দিন ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর খাবারও খেতে হবে। কারণ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। যে কারণে গ্রিন-টি খুব উপকারী। রোজের খাবার থেকে তেল-মশালা কমিয়ে, সম্ভব হলে অল্প অলিভ ওয়েলে রান্না করা খাবারে জোর দিন।
প্রতিটি তাজা আপডেট পেte এর ফেসবুক পেজ লাইক করুন।




source:
2/19/2017 04:47:00 PM

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা? বুঝবেন কী করে


অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা? বুঝবেন কী করে
অ- অ অ+
সাধারণ পেটে ব্যথা এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার পার্থক্য জানা আছে আপনার? হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হলে আমরা বুঝেই উঠতে পারি না ব্যথাটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কি না। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয় বলে এর উপসর্গ সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন।

> নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তা অন্যত্র অর্থাৎ তলপেটে স্থানান্তরিত হয়।
> পেটের ডানপাশে অথবা পিছনে তীব্র ব্যথা দেথা দেয়।
> ওই স্থানে চাপ দিলে অসহ্য ব্যথা হয়।
> শরীর হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে যায়।
> কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
> পেটের ব্যথায় জ্বর হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্বরের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
> খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়।
> বমি বমি ভাব থাকে। মাঝে মধ্যে বমিও হয়।

source:
2/19/2017 03:51:00 PM

উমোনিয়া হয়েছে কি না, প্রাথমিক অবস্থায় বোঝার উপায় জানেন তো ?

নিউমোনিয়া হয়েছে কি না, প্রাথমিক অবস্থায় বোঝার উপায় কী?
উত্তর : নিউমোনিয়ার লক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো শিশুদের। অপরটি হলো বয়স্কদের। যারা একটু বয়স্ক তারা তো বুকে ব্যথার কথা বলতে পারে। যদি দেখা যায় শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হচ্ছে এবং যদি জ্বর থাকে তাহলে সতর্ক হতে হবে। যেকোনো সর্দি-কাশির সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার নিউমোনিয়া হয়েছে। বয়স্কদের বেলায়ও একই কথা। সর্দি-কাশি থাকলে, জ্বর থাকলে এবং যদি শ্বাস-প্রশ্বাস বড় হলে সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকরা বুক পরীক্ষা করলে নিউমোনিয়ার লক্ষণ বুঝতে পারেন। এরপর তো অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে আছেই।
প্রশ্ন : নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে যেন না পড়তে হয়, সে জন্য কী করণীয়।
উত্তর : নিউমোনিয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো মৃত্যু। কারণ পৃথিবীতে বহু দেশেই শিশু ও বৃদ্ধরা এই ঝুঁকিতে পড়ে। বিশেষ করে, তারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না হয়, অবশ্যই মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়া দুই ভাগে হতে পারে। একটি হলো ভাইরাস নিউমোনিয়া। এটা কোনো ওষুধে কাজ করে না। আরেকটি হলো রোগ-জীবাণু দিয়ে হয়। সেটির ভালোভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব। এর মধ্যেও যদি চিকিৎসা করা না হয়, নিউমোনিয়ার পরে বুকে পানি জমতে পারে। নিউমোনিয়া ভালো না হলে ফুসফুস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরে ওই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। ফুসফুসের মধ্যে পুঁজ জমতে পারে। এটি সহজে চিকিৎসায় ভালো হয় না।

source:
2/19/2017 03:49:00 PM

স্পর্শকাতর অঙ্গে কালো দাগ, জাদুকরি রসে হবে দূর>>

স্পর্শকাতর অঙ্গে কালো দাগ, জাদুকরি রসে হবে দূর
আমরা প্রতিদিন মুখ, হাত-পা থেকে শুরু করে শরীরের সব অঙ্গের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু তারপরও দেহের স্পর্শকাতর গোপন অঙ্গ বিশেষ করে বগল, দুই থাইয়ের মাঝে, প্রজনন অঙ্গ, হিপ, কোমরে কালো দাগ দেখা যায়।
পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কারসহ নানা কারণে এসব অঙ্গে দাগ হয়ে যায়।এসময় লজ্জায় বা অস্বস্তির কারণে আমরা পার্লারে যেতে চাই না।
যাদের ওজন একটু বেশী, তারাই এ সমস্যায় পড়ে থাকেন। প্রসাধনী ব্যবহার করেও কোনও উপকার পাচ্ছেন না। কারণ এটা বসে যাওয়া জেদি দাগ, তাই এ দাগগুলো হটাতে একটু পরিশ্রম তো করতেই হবে? কী পরিশ্রমের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলেন? না ভয় পাওয়ার কিছু নেই ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন!
তাই আসুন জেনে নিন কীভাবে আধা ঘণ্টায় চলে যাবে স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ:
আলুর রস : আলু রস স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ সহজেই দূর করে। প্রতিদিন গোসলের আগে আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
শসার রস : শসার রস যে কোনও স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের কোনও ক্ষতিও হয় না। দাগের স্থানগুলোতে শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০/২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
লেবুর রস : লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে জ্বলুনি বাড়তে পারে। লেবুর রসের সঙ্গে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে লাগান আক্রান্ত স্থানে। লেবুর ও হলুদ দাগছোপ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
দুধ ও মুলতানি মাটি : কাঁচা দুধের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ পানি মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক মুখেও ব্যবহার করতে পারেন।
দই ও হলুদ : দইয়ের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মত আলতো হাতে ঘষে ঘষে লাগান। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিটের জন্য। পরে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
সাবধানতা
* উপরের উল্লেখি যে কোন প্যাক ব্যবহারের পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার।
* গোপন অঙ্গে বাজারের নানা রকম রঙ ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
* বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।

source:
2/19/2017 01:52:00 PM

অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ : উপরের পেটে তীব্র ব্যথার একটি কারন



অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ : উপরের পেটে তীব্র ব্যথার একটি কারন
আমাদের পেটের উপরিভাগে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থাকে অগ্ন্যাশয় নামে। যাকে প্যানক্রিয়াস বলা হয়। এ অঙ্গটির দুটো কাজ।
১) এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু হরমোন নিঃসরণ করে; যেমন : ইনসুলিন, গ্লুকাগন ইত্যাদি।
২) কিছু এনজাইম ক্ষরণ করে যা আমাদের খাবার হজম এবং বিপাকে সাহায্য করে।
অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহকে বলা হয় প্যানক্রিয়াটাইটিস। যে যে কারণে প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়ে থাকেঃ
১. পিত্তথলিতে পাথর (৫০-৭০%)
২. মদ্যপান
৩. ERCP নামক অপারেশানের পর
৪. হাইপারট্রাইগ্লিসারাইডেমিয়া
৫. পেটে কোনো আঘাত, ইত্যাদি।
কী কী উপসর্গ নিয়ে আসেন রোগীরা?
১. হঠাৎ করে উপরের পেটের মাঝের দিকে ব্যথা শুরু হয়। এ ব্যথার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
– কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথার মাত্রা অনেক তীব্র ও মারাত্নক হয়ে যায়।
– একটানা তীব্র ব্যথা হতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত এ ব্যথা থাকতে পারে।
– সাধারণ ব্যথার ওষুধে এ ব্যথা কমে না।
– ৫০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই এ ব্যথা পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
– কিছু কিছু রোগী সামনের দিকে ঝুঁকে বসলে ব্যথা কিছুটা লাঘব হয়।
– এ ব্যথাটা সাধারণত ভারী কোনো চর্বিযুক্ত আহারের পর শুরু হয়।
২. বমিবমি ভাব।
৩. বমি হওয়া।
৪. বারবার বমির উদ্রেক হওয়া।
৫. হেঁচকি ওঠা ইত্যাদি।
চিকিৎসক আপনার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে কী কী পেতে পারেন?
১. জণ্ডিস
২. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
৩. শ্বাসপ্রশ্বাসের হার বেড়ে যাওয়া
৪. রক্তচাপ কমে যাওয়া
৫. জ্বর
৬. নাভির চারপাশে বা পেটের দুদিক নীলাভ রঙের হয়ে যাওয়া
৭. পেটে চাপ দিলে ব্যথা হওয়া এবং শক্ত অনুভব
৮. উপরের পেটের মাঝখানে চাকা চাকা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি।
কী কী টেস্ট করানো হয় সাধারণত?
১. রক্তে প্যানক্রিয়াস থেকে নিঃসৃত কিছু এনজাইম, সেরাম এমাইলেজ ও লাইপেজ। সাধারণ মাত্রার চেয়ে ৩-৪ গুণ বেড়ে যায় সাধারণত ।
২. রোগী যদি ব্যথা শুরু হবার ৭২ ঘণ্টা পর আসে তাহলে প্রস্রাবে এনজাইম দেখা হয়, ইউরিনারি এমাইলেজ।
৩. পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি
৪. পেটের সিটি স্ক্যান ইত্যাদি।
চিকিৎসা : যদি তীব্রতা কম থাকে তবে ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা যায়। তবে যদি তীব্রতা বেশি থাকে তবে HDU বা ICU -তে রোগীর চিকিৎসা করা হয়।
১. রোগীকে মুখে কিছু খেতে দেওয়া নিষেধ।
২. নাকে নল ঢুকিয়ে রাখা হয়
৩. শিরায় স্যালাইন দেওয়া হয়
৪. শিরাপথে এন্টিবায়োটিক এবং ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়
৫. প্রস্রাবের রাস্তায় নল বা ক্যাথেটার দেওয়া হয় প্রয়োজনে ইত্যাদি।
সাধারণ অপারেশান করা হয় না। তবে প্যানক্রিয়াটাইটিস যদি পিত্তথলির পাথরের কারণে হয়, তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ERCP অপারেশান করতে হয়।
প্রতিরোধে করণীয় কী?
১. মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।


source:
2/19/2017 01:48:00 PM

ওষুধ ছাড়াই প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে যা করবেন!

ওষুধ ছাড়াই প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে যা করবেন!
ক্রমেই বদলাচ্ছে জীবনযাপনের ধরন। আর সেই বদলির বাড়তি পাওনা ঘরে ঘরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। বাড়তি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফস্টাইল মডিফিকেশন না করে বেশিরভাগ মানুষই দারস্থ হন ওষুধের কিন্তু জানেন কি কয়েকটি সহজলভ্য খাবারেই আপনি হার মানাতে পারেন রক্তচাপের চোখ রাঙানিকে?
নারকেলের পানি –
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডাব বা নারকেলের পানি রক্তচাপ কমাতে পারে ১২ পয়েন্ট পর্যন্ত। ২০ আউন্স নারকেলের জলে ১৫০০ মিলিগ্রাম পট্যাশিয়াম আছে। এই খনিজ মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তিলের তেল –
এই তেলে স্বাস্থ্যকর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। আর রয়েছে সিসামিন কম্পাউন্ড। ব্লাড ভেসেলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই তেল। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। রান্নায় ব্যবহার করার পাশাপাশি স্যালাড ড্রেসিং হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারেন তিলের তেল।
দারচিনি –
যাঁদের হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে তাঁরা যদি নিয়মিত আধ চা-চামচ দারচিনিগুঁড়ো খেতে পারেন, তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে অবাধ্য রক্তচাপকে।
চা খান ইচ্ছেমতো –
গ্রিন টি-র মাহাত্ম্য নিয়ে সবাই সরব হলেও, ব্ল্যাক টিও কিন্তু একইভাবে উপকারী। এতে আর্টারি রিল্যাক্সিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
সবুজের সংস্পর্শে থাকুন –
প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক তো কবেই হারিয়ে গেছে। কিন্তু হৃদয়কে বাঁচাতে আর রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ প্রকৃতির জুড়ি মেলা ভার। সবুজের সু-প্রভাব আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের প্রভাব কম পড়ে শরীরে। তাই চেষ্টা করুন, সামান্য হলেও কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাতে।
সোজা হয়ে বসুন –
শিড়দাঁড়া সোজা করে বসার চেষ্টা করুন সব সময়। ঘাড়ের কাছে এমন কিছু স্পর্শকাতর স্নায়ু আছে যা মস্তিষ্কে শান্তির বার্তা পাঠায়। কুঁজো হয়ে বা বেঁকে বসলে এই সব স্নায়ুর স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।
আলু রাখুন খাবারে –
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। আলু রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারে সিদ্ধ বা বেকড আলু রাখুন। এতে রয়েছে পট্যাশিয়াম, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ট্রাইপটোফান। রক্ত ধমনীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে আলু। ।
জোরে শ্বাস নিন –
ধীরে ধীরে গভীর নিঃশ্বাস নিন। প্রতিমিনিটে ১০টি গভীর শ্বাস নিন। এতে স্ট্রেস দূর হয়। ফলে হৃদয়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে না, আর রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

source:
2/19/2017 01:37:00 PM

পেটের চর্বি ঝরাতে শুধু এই সব্জিটি খান


বাঁধাকপি বা পাতাকপি জনপ্রিয় পাতা জাতীয় একটি সবজি। এই সবজিটি ব্রাসিকেসি বা ক্রুসিফেরি গোত্রের ব্রাসিকা অলেরাসিয়া প্রজাতির উদ্ভিদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাতাকপি ভিটামিন 'সি' এর উৎস। এতে গ্লুটামাইন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যার দহন নিবারক গুণাবলী আছে।
এই সবজী কাঁচা অথবা রান্না করে খাওয়া যায়। এই সবজি পেট পরিষ্কার করে চর্বি ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয় বাঁধাকপির স্যুপ পান করে সপ্তাহে ১০ পাউন্ড ওজন ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যারা নিজেদের ওজন সম্পর্কে সচেতন তার প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় বাঁধাকপির সালাদ রাখতে পারেন।
সাধারণত সবুজ বা সাদা বাঁধাকপি আমরা খাই, তার চাইতে বেশি স্বাস্থ্যকর হলো লালচে-বেগুনী রঙের বাঁধাকপি।
বিশেষজ্ঞরা বাঁধাকপির আর কী কী গুণের কথা বলেছেন তা নিম্নে আলোচনা করা হল :
হজমে সহায়তা করে : বাঁধাকপিতে ভিটামিন ছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে পেট পরিষ্কার থাকবে। এছাড়াও গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাও কমে যাবে।
কোলেস্টেরল কমায় : শরীরে কোলেস্টেরল কমায় এই সবজি। এটি খাওয়ার পর শরীরে চর্বি সার্বিকভাবে ঝড়ে যায়।
শরীরের পানি বের করে দেয় : অনেকের শরীরে পানি জমে ফুলে থাকে। কিন্তু খনিজ এবং পানিতে পূর্ণ পাতাকপি নিয়মিত খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি এবং টক্সিক বের হয়ে যাবে, ফলে শরীরটাও ঝরঝরে হবে।
পেট ফাঁপা রোধ করে : ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যথেষ্ট পরিমাণে আছে বাঁধাকপিতে। এ কারণে কোনও ইনফেকশন থেকে পেট ফেঁপে থাকলে তা কমায় এই সবজিটি। তবে এর জন্য সবুজ বা সাদা বাঁধাকপির চাইতে বেগুনী বাঁধাকপিটা বেশি কার্যকর।

source:
2/19/2017 10:45:00 AM

Acne Problems



ব্রণ সমস্যায় ৭ টি জাদুকরী সমাধান ! ব্রণ
সমস্যা নেই এমন মানুষ বিরল। মুখ
ভর্তি ব্রণের যন্ত্রণায়
অনেকেই বিপদে আছেন। কতো ওষুধ
খেয়েছেন,
এটা ওটা মুখে মেখেছেন কিন্তু
কোনো কিছুতেই কোনও লাভ
হচ্ছে না। ব্রণ তো কমেই নাই
বরং বিচ্ছিরি দাগ ও গর্ত
হয়ে গেছে। খুব সহজেই ব্রণের উপদ্রব
অনেকটাই
কমিয়ে ফেলতে পারবেন ঘরোয়া ৭টি উপায়ে।
তাহলে জেনে নেয়া যাক ব্রণ সমস্যা দূর
করার
যাদুকরী পদ্ধতিগুলো। *সকাল বেলায় মধু
দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন মধুর
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে।
তাছাড়া মধু ত্বকের
আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত
তেল থেকে মুক্ত করে। প্রথমে হাত
ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের
তালুতে আধা চা চামচ
মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু
গরম করে নিন।
এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২
মিনিট ধরে।
ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন
কয়েকবার করে। *রাতে জলপাই তেল
ম্যাসাজ করুন আপনার ত্বক তৈলাক্ত
কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন
রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল
দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক
মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব
কমে যায়। প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই
তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল
কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই
তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ
করে নিন নিচের
থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট
ধরে মুখ ম্যাসাজ
করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক
থেকে মেকআপ
এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর
কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের
অতিরিক্ত তেল মুছে নিন
ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ
পরিষ্কার
করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
*গোলাপ জলের টোনার প্রতিদিন মুখ
ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের
লোমকূপ বন্ধ
করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী।
কারণ লোমকূপ
খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব
বৃদ্ধি করে। এই
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ
কার্যকারী টোনার
হিসেবে কাজ করে। পানিতে গোলাপ জল
মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন।
সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায়
ফিরে মুখ ধোয়ার পর
এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক
দীর্ঘ সময় ধরে তেল
মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে।
বরফ হিসেবে ব্যবহার
করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল
লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও
টোনারের কাজ হবে। *স্ক্র্যাবার
হিসেবে বেকিং সোডা আমাদের
ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে।
এগুলোর জন্য
ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়।
তাই
ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়।
এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ
ভালো স্ক্র্যাবার। প্রথমে বেকিং সোডা ও
সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই
মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায়
ভালো করে ম্যাসাজ
করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার
পরে হালকা গরম
পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে তিন বার এই
পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব
কমে যাবে, ব্রণের দাগ
কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে। লাইক
দেন বা নাই দেন আপনারা আমাদের
পোস্টগুলো পড়ে উপকৃত
হলেই আমাদের লিখা স্বার্থক। কারন
আপনাদের সুখী জীবনই
আমাদের কাম্য।


source: