Breaking

Showing posts with label রোগ ব্যধি ও চিকিৎসা. Show all posts
Showing posts with label রোগ ব্যধি ও চিকিৎসা. Show all posts

Monday, February 26, 2018

2/26/2018 04:14:00 PM

যে চারটি খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন



আয়রন হলো শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান যা মিনারেল হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রাপ্ত বয়স্ক  একজন ব্যক্তির প্রতিদিন আট মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা প্রয়োজন। ১৯ থেকে ৫০ বছরের নারীদের প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম করে আয়রন গ্রহণ করতে হবে। গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারী মায়েদের প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১১ মিলিগ্রাম আয়রন গ্রহণ করা খুবেই জরুরি।

তাই আমাদের আয়রনের অভাব পূরণ করতে হলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার । আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবারের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

১. আনার


প্রথমেই রয়েছে আনার। আনারের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ, অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস । প্রতি  ১০০ গ্রাম আনারে রয়েছে  ০.৩ মিলিয়ন আয়রন। আনারকে সালাদ ও ডেসার্টে ব্যবহার করেও  খেতে পারেন।

২. বাদাম

দ্বিতীয়তে রয়েছে বাদাম। বাদামের মধ্যে রয়েছে চীনা বাদাম, কাঠবাদাম, ক্যাসোনাট, পিনাট ইত্যাদি হলো আয়রনের চমৎকার উৎস। ক্যাসোনাট এ আছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আয়রন। ৩০ গ্রাম ক্যাসোনাটে রয়েছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন। স্ন্যাকস হিসেবে এই বাদাম খেতে পারেন।

৩.আপেল

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আপেল। আপেল আয়রনের ভালো একটি উৎস। এর মধ্যে আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি। মধ্যমমানের একটি আপেলে রয়েছে ০.৩/১ মিলিগ্রাম আয়রন। আপেল  হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভালো কাজ করে। নাস্তার টেবিল এ ছাড়াও ডেসার্ট, সালাদ, অথবা স্মুদি তৈরিতে আপেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. খেঁজুর

সব শেষে রয়েছে খেজুর। খেঁজুর হলো আয়নের খুব চমৎকার একটি উৎস। এর মধ্যে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬। খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটিও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যা আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে রাখবে সুস্থ।

Sunday, February 25, 2018

2/25/2018 10:49:00 AM

আঁদার গুনাগুন্

আজ আমরা আঁদার গুনাগুন্ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

০১.
পেশী ক্লান্তি জন্য আদা গুঁড়া কি বেশি প্রয়োজন ?


কাঁধের ব্যথা থেকে বেঁচে থাকা তরুণ ব্যবসায়ী,

আলেকজান্দ্রিয়াতে আদা খাওয়াতে ব্যায়ামের কারণে পেশী ব্যথা দূর করার কাজ করে এমন পণ্ডিত ব্যক্তিরা প্রচার করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বিজ্ঞান বিভাগের ড. প্যাট্রিক ও'কন্নর, ডায়ালেসিক প্রভাব বাড়ানোর সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে 74 জন মানুষের জন্য 11 দিনের জন্য একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালিত করেছে। প্রতিদিন আদা 2 গ্রাম পাকস্থলিতে গ্রহণ করা হয়, পেশী প্রশিক্ষণ চ্যালেঞ্জ করার জন্য।

পেশীর ব্যাথা পরীক্ষা করার পর, গতি এবং ক্লান্তি পরিস্থিতি দেখা যায় যে, প্রতিদিন প্রায় 30 শতাংশ মানুষের পেশী ব্যথা কমে যায়।


০২.
মেটাবোলিজমে আঁদার গুনাগুন্।


কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পুষ্টির গবেষণা  টিম ২০১২ সালে এই ধরনের একটি উপস্থাপনা তৈরি করে এবং এটি একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে ওঠে। "আদা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এবং ক্ষুধা হ্রাস করতে সক্ষম তাই আদা খুবেই দরকারি "।

গবেষণাপত্রগুলির সারসংক্ষেপে, শরীরের তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে বিপাক ঘটে, ফলে কম শক্তি খরচ হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয় যা বিপাক প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। অতএব, আদা ব্যবহার করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা উষ্ণ হবে।

ধারণা করা হয় ,আদা শরীরের তাপমাত্রা প্রায় 12% বৃদ্ধি করে। বিন্দু শরীরের এই উদ্ভিজ্জ সঙ্গে warms যে হয়, যুক্তি বিপাক প্রচারের মাধ্যমে বিপাক মুখোমুখি হয়।
এক টুকরো আদা শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং হজম প্রকিয়া আরো শক্তিশালী করে।


০৩.
আপনার ত্বকে ইউভি (UV) সুরক্ষা জন্য আদা।
ব্যাংকক এর চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিক্যাল রিসার্চ টিম দ্বারা পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, আদা সূর্যের  অতিবেগুনী আলোকে শোষণ করার ক্ষমতা রাখে, যা অতিবেগুনী আলোতেও UVB (অতিবেগুনী বি তরঙ্গ) এর সাথে সম্পর্কিত ডিএনএ ক্ষতি থেকে ত্বকের রক্ষা করে।

০৪.
"সকালে অসুস্থতা হ্রাস"
ভয়েস বলছে যে ,

এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক উপসর্গ যেমন বুকজ্বালা এবং বমি বমি ভাব, এছাড়াও "সকালে অসুস্থতা" জন্য আদা খুব ভালো কাজ করে ।

উদাহরণস্বরূপ,("মেডিকেল ডেইলি") আমেরিকান গর্ভবতী মহিলা সমিতি থেকে  গর্ভবতী মহিলাদের যা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তা হলো,  আদার  চা এবং আদার জ্যাম (চাটনি)। এদিকে, গবেষকরা বলছেন, "সম্ভবত আদার কার্যকারিতা সীমিত এবং কিছু  সীমাবদ্ধতার রয়েছে"। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এর পৃথক দৃষ্টিকোণ থাকলেও আদার গুনাগুন অপরিমেয়।

০৫.
অপ্রীতিকর পরিণামের জন্য

আপনি প্রায়ই পেটের হজম জনিত সমস্যায় পড়েন । তাই আদা কিভাবে শরীরের পাকস্থলিতে কাজ করে তা আমরা জানবো।

ভারতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা একটি গবেষণায়, তীব্র উপাদান হিসেবে আদার রস সুপ্ত গ্যাস্ট্রিক এবং হজম উন্নত করে বলে মনে করা হয়। ফলে আদা বদ-হজম জনিত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও, সকালে আদার চা এর উপকারিতা অনেক । শুধু মাত্র শরীর উষ্ণ রাখতে নয়, বরং পেটের নানান সমস্যার সমাধান হিসেবে এবং বমি বমি ভাব দূর করতেও আদার গুরুত্ব অনেক।




Monday, February 20, 2017

2/20/2017 10:32:00 AM

বুক জ্বালাপোড়া: কারণ ও প্রতিকার


॥ শারীরিক সমস্যার মধ্যে বুক জ্বালাপোড়া একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। কিন্তু এই বুক জ্বালাপোড়া করলে তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেই আজকের এই প্রতিবেদন।
আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত। আমরা নিজেরাও অনেকটা যন্ত্রের মত হয়ে গেছি। আমাদের দেহটা একটা যন্ত্রই বলা যায়। দেহের কোথাও কোন সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে সারা শরীরে। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছোট বড় অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো বুক জ্বালাপোড়া বা Heart burn।
বর্তমানে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে একবারের জন্যও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগে নাই। আপনাদের জন্য আমাদের আজকের প্রতিবেদন হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়া। তাহলে আসুন আমরা স্বল্প পরিসরে জানার চেষ্টা করি বুক জ্বালাপোড়া কি? কি কারণে হয়? এবং কি হতে পারে এর প্রতিকার?
বুক জ্বালাপোড়া কি?
বুক জ্বাল পোড়া হচ্ছে-বুকের ভিতরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে শুরু করে গলা পর্যন্ত জ্বালাকর অনুভুতি। এই জ্বালা কখনও কখনও শুধু বুকে আবার কখনও কখনও শুধু গলায় বা উভয় স্থানে হতে পারে। মাঝে মাঝে জ্বালার সাথে ব্যাথ্যা থাকতে পরে। মাঝে মাঝে কিছু তরল পদার্থ পাকস্থলী থেকে গলনালী দিয়ে মুখ চলে আসে, অর্থাৎ উল্টা পথে ধাবিত হয়, একে বলা হয় Gastro esophageal reflax.
বুক জ্বালপোড়ার কারণ কি?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দীর্ঘ দিনের গবেষণায় বুক জ্বালাপোড়ার যে সকল কারণ বেরিয়ে এসেছে সেগুলো হচ্ছে –
# অ্যালকোহল সেবন করা।
# চা, কফি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা।
# কালো গোল মরিচ, সিরকা যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
# তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া বেশি পরিমাণে খেলে বুক জ্বালাপোড়া হয়।
# আচার, টমেটোর সস, কমলার রস, পেয়াজ, পিপারমেন্ট ইত্যাদি খাবার বুক জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দেয়।
# মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাও বুক জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী।
# ধুমপান হচ্ছে বুক জ্বালাপোড়ার আরও একটি অন্যতম কারণ।
# পিত্ত থলিতে পাথর থাকলেও বুক জ্বালাপোড়া হয়।
# পাকস্থলীর উপর চাপ পড়লে বুক জ্বালাপোড়া হয়। পাকস্থলীর উপর চাপ বলতে বুঝায়- এক সাথে বেশি পরিমাণ খাওয়া, স্থুলতা, গর্ভাবস্থা, শক্ত ও মোটা বেল্টের প্যান্ট পড়া ইত্যাদি।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বুক জ্বালাপোড়ার লক্ষণ কি কি হতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনি আসলেই বুক জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন।
নিচের লক্ষণগুলোই হল বুক জ্বালাপোড়ার লক্ষণ:
# পেটের উপরের দিকে মৃদু ব্যথ্যা হওয়া।
# বুকে ব্যথ্যা হওয়ার সাথে জ্বালা ভাব থাকে।
# বুক জ্বালা কখনও খাবার গ্রহণের পরে হয়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে পেট খালি থাকলে হয়।
# মাঝে মাঝে ঢেকুর উঠে।
# বুক ব্যাথ্যা – এটি হচ্ছে বুক জ্বালার একটি লক্ষণ। পাকস্থলীর এসিড সম্প্রসারিত হয়ে খাদ্যনালীর উপর পর্যন্ত চলে আসে এবং বুকে ব্যথ্যা ও জ্বালা হয়। এই ব্যাথ্যা ও জ্বালা কখনও স্বল্পস্থায়ী আবার কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয়। বুকের ব্যথ্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় ও বাম বাহুতে চলে আসে এবং ব্যায়াম করার সময় বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
# বিশ্রামের সময় বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যাথ্যার বৃদ্ধি হয়। আমরা যখন শুয়ে থাকি বা আধো শোয়া অবস্থায় থাকি তখন এসিড খাদ্যনালী দিয়ে উপরে উঠে আসে। ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়। Dr. Coyle এর মতে, আমরা যখন সোজা হয়ে বসে থাকি তখন মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে খাদ্যবস্তুসমুহ পাকস্থলীতে থাকে, তাই বুক জ্বালাপোড়া কম হয়।
# মুখে তিতা স্বাদ অনুভুত হওয়া। এই ঘটনা সকালের দিকে বেশি ঘটে।
# স্বরভঙ্গ – স্বরভঙ্গ হচ্ছে বুক জ্বালপোড়ার একটি অস্বাভাবিক লক্ষণ। ঠাণ্ডা
লাগার প্রথম অবস্থায় যে রকম হয় ঠিক সে রকম হয়। অমস্ন বা এসিড গলা পর্যন্ত উঠে আসার কারণে এরকম হয়। এসিড কন্ঠস্বরকে ভারি করে তোলে।
# গলায় ক্ষত – বুক ও গলা জ্বালার সাথে গলায় ক্ষত হয়। মনে হয় যেন গলা ছিলে গেছে। এসিড খুব ক্ষতকারী তাই এই রকম হয়। খাদ্য গ্রহণের পরপর এ রকম হলে বুঝতে হবে এটা বুক জ্বালাপোড়ার সাথে সম্পৃক্ত।
# খাদ্য গ্রহণের পরপর কাশি শুরু হয়। পাকস্থলীর এসিড ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে, বুক জ্বালার সাথে সাথে শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
# বমিবমি ভাব ও বমি হতে পারে। মুখে অতিরিক্ত লালা উঠতে থাকে।
# দীর্ঘ দিন যাবৎ বুক জ্বালাপোড়া চলতে থাকলে এসিডের কারণে খাদ্যনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে খাবার গিলতে কষ্ট হয়।
বুক জ্বালাপোড়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়:
একটি কথা প্রচলিত আছে যে, Prevention is batter then cure অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া ভাল। ওষুধ ব্যতীত বুক জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা আমাদের সবার জন্য দরকার। নিয়ম গুলো হলো:
> যেসব খাবার ও পানীয় খেলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া করে সেগুলো চিহ্নিত করুন এবং এড়িয়ে চলুন।
> ধুমপান বর্জন

source:

Sunday, February 19, 2017

2/19/2017 08:19:00 PM

মাথা ব্যাথা ও সর্দি রোধে কালো জিরা



মাথা ব্যথা ও সর্দি হলে কিছু
পরিমানে কালোজিরা একটা পুটলির
মধ্যে বেঁধে কিছুসময় ধরে ঘ্রাণ নিতে থাকুন।
শুনতে অদ্ভুত লাগছে?
এটা কিন্তু আসলেই আপনার
মাথা ব্যথা ও সর্দি কমিয়ে দিবে।...........
2/19/2017 07:18:00 PM

একজিমা হলে কী করবেন?


যাঁদের একজিমা বা চর্মরোগ আছে, তাঁদের জন্য সময়টা খারাপ। এই রোগীর ত্বক এমনিতেই শুষ্ক ও খসখসে থাকে, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় তা আরও প্রকট হয়। চুলকানি থাকে প্রচণ্ড, আর নখ দিয়ে চুলকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। অনেক সময় সংক্রমণও হয়ে যায়। ধুলাবালু, ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস, অনেক সময় ডিটারজেন্ট বা সাবান—এসব জিনিস ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি—দুটোই বাড়ে।
একজিমা রোগীদের ত্বককে আর্দ্র রাখতে হবে। গোসলে বেশি গরম পানি ব্যবহার করবেন না, বেশি বেশি সাবান বা শ্যাম্পুও নয়। গোসলের পর অতিরিক্ত ঘষাঘষি করে না শুকিয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে পানি সরিয়ে নিন ও আর্দ্র অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা তেল মেখে নিন। পুরু ময়েশ্চার যা দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখে, সেটাই ভালো। যেসব ক্রিম বা লোশনে বাড়তি সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান নেই, সেগুলোই বেছে নিন।
চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন খেতে পারেন। এরপরও যাঁদের ভীষণ চুলকানি হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজিং লোশন ও এই স্টেরয়েড ক্রিম একই জায়গায় একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না।
সমস্যা আরও বেশি প্রকট হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইমিউন মডুলেটর ওষুধ ব্যবহার করা যায়। একজিমা কখনো পুরোপুরি সারবে না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।

ডা. তাহমিনা আক্তার
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

জীবনযাপন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
শীতে চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে
শীতে চোখ ভালো রাখবেন যেভাবে
শীতের সময় ত্বক আর চুলের যত্নে অনেকেই তৎপর থাকেন। শীতের সময় ত্বক আর চুলের পাশাপাশি চোখের জন্য বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কী ধরনের খাবার খেলে হাড় ভালো থাকবে?উত্তর: হাড় সুস্থ রাখার জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
আপনার রাশিফল
আপনার রাশিফল
আজ ১২ ডিসেম্বর। এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা
শীতে যা খেলে পাবেন ঝকমকে মুখ
শীতে যা খেলে পাবেন ঝকমকে মুখ
শীতকালে অনেকের মুখের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সতেজ করতে অনেকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তবে ত্বকে সজীবতার জন্য
হৃদ্‌রোগ এড়াতে ‘সিম্পল সেভেন’
হৃদ্‌রোগ এড়াতে ‘সিম্পল সেভেন’
দৈনন্দিন জীবনে শুধু সাতটি সহজ বিষয় রপ্ত করতে পারলেই ২০২০ সাল নাগাদ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু ২০ শতাংশ কমে যাবে। আমেরিকান
পাঠকের মন্তব্য (০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন

প্রচ্ছদ
আজকের পত্রিকা
খেলা
বিনোদন
মতামত
বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক
অর্থনীতি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
দূর পরবাস
জীবনযাপন
শিক্ষা
আমরা
শিল্প ও সাহিত্য
বিশেষ সংখ্যা
পাঁচমিশালি
২২২১
ফিচার
ছবি
ভিডিও
ডাউনলোড প্রথম আলো অ্যাপ
ডেস্কটপ সাইট দেখুন
সম্পাদক ও প্রকাশক: মতিউর রহমান
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত । প্রথম আলো ১৯৯৮ - ২০১৬
2/19/2017 07:01:00 PM

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন

দারুণ সুন্দর ত্বক চান? ক্ষতিকর ৯ কাজ বাদ দিন
সুন্দর ত্বকের জন্য অনেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী ও মূল্যবান সামগ্রী ব্যবহার করেন। যদিও কিছু ভুলের জন্য ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
এ লেখায় দেওয়া হলো ১০টি কাজ, যা ত্বকের ক্ষতি করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ঘুমের অভাবে চেহারায় যে ছাপ পড়ে তা মানুষের মুখ ও চোখ দেখলেই বোঝা যায়। আর তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
২. অলস জীবনযাপন
আপনি যদি আলসেমিপূর্ণ জীবনযাপন করেন তাহলে ত্বকের ওপর নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। এ ক্ষেত্রে ত্বকে অকালেই বলিরেখা পড়ে এবং ত্বক বুড়িয়ে যায়। তবে আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটেন বা শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
৩. মানসিক চাপে থাকা
মানসিক চাপের প্রভাব আপনার ত্বকে পড়বেই। আর আপনি যদি প্রতিদিন চাপের মধ্যে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্যও সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে।
৪. মেকআপসহ ঘুম
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেরই মেকআপের প্রয়োজন হয়। যদিও এ মেকআপ প্রয়োজন শেষে ভালোভাবে উঠিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় তা আপনার সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট করবে।
৫. অতিরিক্ত সূর্যতাপ
আপনি যদি অতিরিক্ত সময় সূর্যতাপে থাকেন তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো সূর্যতাপ এড়িয়ে চলা ও সূর্যতাপে ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
৬. ত্বকের অযত্ন
ত্বকের যত্ন করারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা রোধ করতে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার ও ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যেতে পারে।
৭. কোমল পানীয় পান
অনেকেরই বাড়তি কোমল পানীয় পান করা অভ্যাস রয়েছে। আর এ অভ্যাসের কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খাওয়া
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত তাজা ফলমূল না খান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হবে। সুন্দর ত্বকের জন্য বাড়তি পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া তেল-চর্বি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
৯. ধূমপান
ধূমপানের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। আর ধূমপান শুধু ফুসফুসের ওপরই নয়, সারা দেহের ওপরই প্রভাব বিস্তার করে।
#লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source:
2/19/2017 06:58:00 PM

আপনি কি বাচ্চা প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন ?

আপনি কি প্রসবের তিনটি ধাপ জানেন

একটি দম্পতির কাছে সবচেয়ে সুখকর পর্ব হল গর্ভধারণ। গর্ভবতী মায়েরা প্রসবের দিন এগিয়ে আসার সময়কালে অতিরিক্ত আবেগময় ও হরমোনাল হয়ে পড়েন, এবং এটি একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, একটি পূর্ণ মেয়াদ শিশু প্রসব করতে নয়টি পূর্ণ মাস সময় লাগে। এই নয় মাস সন্তানসম্ভবা মা এবং পরিবার দুঃখ সুখে ভরা থাকে| তবে এটি বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে যখন প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসে। প্রসবের ধাপগুলি কয়েক দিনের মধ্যে ঘটতে পারে আবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে, কিছু ভাগ্যবতী মহিলার ক্ষেত্রে কয়েক মিনিটের মধ্যেও ঘটতে পারে।

অধিকাংশ নারী যারা প্রাকৃতিকভাবে প্রসবে ইচ্ছুক হন, তাদের এই প্রসবের পর্যায়টি একটি ভয়ানক মুহূর্ত হয়ে ওঠে কিন্তু প্রক্রিয়া শেষে নবজাতকে কোলে নেওয়ার আনন্দটি বহুমূল্যের।

সিজারিয়ান ডেলিভারি বেদনাদায়ক নয় নরমাল ডেলিভারির থেকে, কারণ এতে প্রসবের প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। সিজারিয়ান বিভাগে, গর্ভবতী মহিলাকে স্পাইনাল কর্ডে এনেস্থেসিয়ার ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। এনেস্থেশিয়া শরীরের নিচের অংশ অবশ করে দেয়। শিশুকে তারপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রসব করানো হয়।

সন্তানসম্ভবা মহিলারা যারা স্বাভাবিক প্রসবের তিনটি পর্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন, তারা এই নিবন্ধটি বিস্মৃতভাবে জেনে নিন। নিবন্ধটি প্রসবের লক্ষণ ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে আপনাকে পরামর্শ দেবে।

প্রসবের লক্ষণ: যখন জরায়ুতে চাপ অনুভব হয়, শক্তির মাত্রার পরিবর্তন হয় এবং রক্তের স্রাব নিঃসরিত হয়, বুঝতে হবে শিশুর প্রসবের সময় হয়ে এসেছে। সংকোচনের সময়টি পর্যবেক্ষণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। লেবার এবং ডেলিভারি তিনটি ভাগে বিভক্ত। গর্ভাবস্থায় প্রথম পর্যায়ের লেবারের ধাপ প্রথম পর্যায়ে জরায়ুর সম্পূর্ণ প্রসারণ ঘটে| প্রথম পর্যায়টি আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত যেমন প্রাথমিক লেবার, সক্রিয় লেবার এবং পরিবর্তনকালীন লেবার।

প্রাথমিক লেবার - এটি সবচেয়ে বেদনাদায়ক পর্যায়। এই সময়ে সারভিক্সের তরলীকরণ এবং প্রসারণ হয়ে থাকে। জরায়ুর অন্তত তিন থেকে চার সেন্টিমিটার প্রসারণ হওয়া আবশ্যক। এই প্রাথমিক লেবারের পর্যায়টি, সপ্তাহখানেক, কিছু দিনের জন্য, এমনকি কয়েক ঘন্টার জন্য ঘটতে পারে।

সক্রিয় লেবার - এই পর্যায়ে সংকোচন এবং ব্যথা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং জরায়ুর দশ সেন্টিমিটার প্রসারণ ঘটে। পরিবর্তনকালীন লেবার - এই সময়ে সংকোচন অনেক শক্তিশালী হয় এবং দুই থেকে তিন মিনিট ব্যবধানে ঘটে| ব্যথা এবং সংকোচন, প্রতিটি পর্যায়ের মধ্যে নব্বই সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দাঁত নড়া সমস্যার তেরোটি ঘরোয়া প্রতিকার সেদ্ধ সবজি খাওয়ার দশটি উপকারিতা ওপরের ঠোঁটের লোম দূর করার ছয়টি ঘরোয়া প্রতিকার গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ এই ধাপটির জন্য মায়েরা সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন।

এই পর্যায়ে, জরায়ুর সম্পূর্ণরূপে প্রসারণ ঘটে এবং তখন শিশু গর্ভ থেকে বের হয়ে আসতে প্রস্তুত। এই পর্যায়ে মহিলাদের শান্ত এবং স্বচ্ছন্দ থাকতে হবে, এবং ব্যথা সহ্য করতে হবে (তার যোনিতে সামান্য জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন যখন শিশুর মাথাটি বাইরে আসার জন্য প্রস্তুত হয়) গর্ভাবস্থায় তৃতীয় পর্যায়ের লেবারের ধাপ শিশুর প্রসবের পর, জরায়ু থেকে গর্ভের ফুলটি অপসারণ করা হয়ে থাকে| কেউ কেউ এই ধাপটিকে দ্বিতীয় শিশু বলে থাকে। এই পর্যায়ে, মহিলারা হালকা সংকোচনের মুখোমুখি হন। গর্ভের ফুলটি জরায়ুর প্রাচীর থেকে নিজেকে আলাদা করে নেয় এবং যোনি থেকে বেরিয়ে আসে। এটা তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়।

লেখকঃ ডাঃ মোঃ মনির হোসাইন
ফার্মাসিস্ট(,ডি, এ,এম, এস)(ডি, ইউ, এম,এস)(ডি, এম, এস) জেনারেল ফিজিসিয়ান এ,এইস, এম,
স্বাস্হ্য বিষয়ক লেখক,গবেষক ও পরামর্শক।

source: