গলার সংক্রমণ দূর করার জন্য আমরা প্রায়ই মেডিকেটেড লজেন্স গ্রহণ করে থাকি। এগুলো কার্যকরী হলেও এগুলোতে প্রচুর চিনি ও প্রিজারভেটিভ থাকে। কিন্তু এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা গলা ব্যথার সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। আর এই উপাদানগুলো প্রায় প্রত্যেকের রান্না ঘরেই পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক এই লজেন্সগুলোর বিষয়ে জেনে আসি চলুন।
১। লবঙ্গ
লবঙ্গের ব্যথাকে অসাড় করার বা শক্তিশালী অনুভূতিনাশক প্রভাবের কথা প্রায় সবাই জানেন। একটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে গলার প্রদাহ থেকে মুক্ত হওয়া যায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। কারণ লবঙ্গে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান আছে। এছাড়াও লবঙ্গ নিঃশ্বাসকে সতেজতা দিতে পারে।
২। রসুন
কাজে যাওয়ার পূর্বে বা কারো সাথে সাক্ষাতের পূর্বে রসুনের কোয়া খাওয়া সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু রান্নাঘরের এই উপাদানটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় গলার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে রাতের বেলা। সকাল বেলা মুখে একটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে রাখলে রসুনের শক্তিশালী গন্ধ দূর হবে।
৩। আদা
গলা ব্যথা দূর করতে আশীর্বাদ স্বরূপ কাজ করে আদা। আদা শুধু গলা ব্যথাই দূর করে না বরং জমাটবদ্ধ শ্লেষ্মা দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা এই সংক্রমণ সৃষ্টিকারী Streptococcus bacteria এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
৪। মিছরি
ঘরে তৈরি বিভিন্ন ঠান্ডার ঔষধের মূল উপাদান হচ্ছে রক ক্যান্ডি বা ক্রিস্টালাইজড সুগার। পুনের আয়ুর্বেদিক প্রেক্টিশনার ডা. স্বপ্নিল ধর্মাধিকারী বিশ্বাস করেন যে, কার্যকরীভাবে গলার ব্যথা দূর করতে এক টুকরো মিছরি মুখে নিয়ে চুষতে থাকলে উপকারিতা পাওয়া যায়।
৫। যষ্টিমধু
গলার ব্যথাকে নমনীয় করতে পারে যষ্টিমধু যা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। গলার ব্যথায় কষ্ট পেলে যষ্টিমধুর একটি ছোট টুকরো মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন। এর সাথে মধু মিশিয়ে নিলে ব্যাকটেরিয়া রোধী উপাদান বৃদ্ধি পাবে।
source:
No comments:
Post a Comment
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ /Thanks for your feedback