Breaking

Sunday, February 19, 2017

নরমাল ডেলিভারি কেন জরুরি ?

অনেক মা প্রসব ব্যাথা ভয় পান এবং তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সিজার করাতে চান। একজন সুস্থ মায়ের ক্ষেত্রে কখনোই এটা প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত নয় একথা বলছেন ল্যাটিন আমেরিকান হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা। ৯৭,০০০ ডেলিভারি রিপোর্ট অনুসন্ধান করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন- স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান করা মায়েদের মৃত্যুঝুঁকি ৩ গুণ বেশী । আরেক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সিজারিয়ান শিশুরা সাধারণত খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকে। কারণ যে সময় অপারেশন করে তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয় ঐ সময়ে সে জন্মগ্রহণ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে না। শিশুর কাছে এই প্রকিয়া নির্যাতন হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার আসা যাক নরমাল ডেলিভারি কেন জরুরি এই আলোচনায়।
সন্তানের ফুসফুসের ক্ষমতা:
নরমাল শিশু যখন বেরিয়ে আসে তখন তার পুরো শরীর সংকুচিত হয়। ফুসফসটাও সংকুচিত হয়। এতে ফুসফুসের ভেতরে থাকা অপ্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ বেরিয়ে যায়। ফলে তার ফুসফুসটা স্বাভাবিক প্রশ্বাস নেবার জন্যে প্রস্তুত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। ফুসফুসের ক্ষমতা ভালো থাকে ।
মায়ের দুধ পানে আগ্রহ:
সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর সংগঠনগুলোর গবেষণায় জানা গেছে, সিজারিয়ান শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে বেশি সমস্যার মুখে পড়ে। নরমাল ভাবে শিশুর জন্ম হলে শিশু কোন সমস্যা ছাড়াই মায়ের দুধ সঠিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে। যার মায়ের দুধের বিশেষ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। অপরদিকে সিজারিয়ান অপারেশনে মাকে অস্ত্রোপচারের জন্য যেসব অ্যানেসথেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তা নবজাতকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বুকের দুধ পানে বাঁধা তৈরি করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
নরমাল ডেলিভারিতে শিশু মায়ের থেকে কিছু অণুজীবাণু পেয়ে থাকে যা তার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম গঠনে সুফল এনে দেয়। শিকাগোর ডা. এলিউট এম লেভিন ও সহযোগী গবেষকদের মতে, সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুদের প্রাইমারি পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপ পাঁচ গুণ বেশি। সিজারিয়ান শিশুর ব্লাড ইনফেকশনের হার বেশি। থাকে জন্ডিস দেখা দেয়ার আশঙ্কা।

সিজোফ্রেনিয়ার ঝুঁকি:
নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা ইঁদুরে ওপর গবেষণা করে পেয়েছেন, সি-সেকশনে জন্ম নেওয়া শিশু পরবর্তী সময়ে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে থাকে।
অ্যালার্জির প্রবণতা:
কিডস অ্যালার্জি রিস্ক ডাটা দেখাচ্ছে সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুতে অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি। ২০০১ সালে প্রকাশিত জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি দেখাচ্ছে, সিজারিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাজমার প্রবণতা বেশি থাকে। এ গবেষণা হয়েছে ফিনল্যান্ডে।
ডায়রিয়া রোগের ঝুঁকি:
জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিউনিখের ৮৬৫ জন শিশু যারা প্রথম চার মাস শুধু বুকের দুধ খেয়েছে, পরবর্তী সময়ে ১২ মাস বয়সে এসে দেখা যায় সি-সেকশনে জন্ম নেয়া শিশুর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হওয়ার ৪৬ গুণ বেশি ঝুঁকি বেড়েছে।
তবে ইমারজেন্সি ক্ষেত্রে বাচ্চাকে দ্রুত প্রসব করাতে হয় (সাধারনত ৩০ মিনিটের মধ্যে)। এক্ষেত্রে মা ও শিশু উভয়ের কথা চিন্তা করে সিজার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। urboshi


source:

No comments:

Post a Comment

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ /Thanks for your feedback